নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল চারটেয় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাংলার মানুষের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন করেন। নবান্ন প্রেস সূত্রে খবর এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ মোট ৪৫ লক্ষ ৫৯ হাজার বাড়ি আমরা আবাস যোজনার মধ্যে এনেছি। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে থাকলেও কেন্দ্র থেকে আমরা কোন সাহায্য পায়নি। আমি কথা দিয়েছিলাম ডিসেম্বরে ১৫ তারিখের মধ্যে সব টাকা দিয়ে দেব। প্রথম দফায় ১২লক্ষ উপভক্তাকে ৬০ হাজার টাকা করে এবং দ্বিতীয় দফায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে মোট ১১ লক্ষ বাড়িতে সার্ভে করা হয়েছে। ২৪ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে পাই কিন্তু তারা দেয়নি। আমরা ভিক্ষা চাই না, এটা আমাদের অধিকার। ডানা ঘূর্ণিঝড়ে যাদের বাড়ি ভেঙে গেছে তাদেরও বাড়ি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে এরজন্য টিম পাঠিয়েছিল কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। কেন্দ্র থেকে ১১লক্ষ বাড়ি মঞ্জুর করেছিল কিন্তু কোন টাকা দেয়নি। এমনকি একশো দিনের কাজেরও টাকা আসেনি কেন্দ্র থেকে’। এদিন ৪২ জনের হাতে প্রতীকী টাকা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকে যাবে।
এর সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও তিনি প্রস্তাব পেশ করেন। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স বলেন, আগামী ১৮ থেকে ১৭ই জানুয়ারির মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা চলবে। ১৪ তারিখ সকাল থেকে ১৫ তারিখ সকাল পর্যন্ত পূণ্যস্নান চলবে। এখনো এই গঙ্গাসাগর মেলা কে জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সুতরাং কেন্দ্র থেকে কোন টাকা পাওয়া যাবে না সমস্ত খরচ রাজ্যকেই করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এটাও ঘোষণা করেন যে কেন্দ্রের কাছে একটি চিঠি যাবে। বুড়িগঙ্গার ওপর একটি সেতু হবে ৫ কিঃমিঃ ৪ লেনের যার খরচ হবে ১৭০০ কোটি টাকা। এর নাম হবে ‘গঙ্গাসাগর সেতু’।