নিজস্ব প্রতিনিধি: হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে, স্ট্রোক হলে সাধারণ মানুষ সেটির সঠিক চিকিৎসা করতে অক্ষম হন। দ্বারস্থ হতে হয় অন্যান্য হাসপাতলে। ভালো হাসপাতাল না পেলে কখনো কখনো রেফার রোগের শিকার হতে হয় তাদের। গবেষকদের মতে কোনো মানুষের স্ট্রোক হলে সেটি সার চার ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি। এই সময়টিকে বলে হয় গোল্ডেন আওয়ার। কিন্তু হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবে মানুষ এই গোল্ডেন আওয়ার এর মধ্যে স্ট্রোকের চিকিৎসা করতে পারেন না। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। থ্রমবেকটামি ও থ্রোম্বোলিসিস এই দুই ধরণের চিকিৎসা স্ট্রোকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই চিকিৎসা মানুষ সঠিক ভাবে পেলে তাদের সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সাধারণ মানুষ হাসপাতালে যাতে খুব সহজেই এই পরিষেবা পেতে পারে সে কারণে এবার টেলিস্ট্রোক ব্যবস্থা চালু করলো রাজ্য সরকার। স্ট্রোকের এই দু ধরণের চিকিৎসা ব্যবস্থা বর্তমানে রাজ্যের ন’টি মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে। টেলেস্ট্রোকের সাহায্যে মানুষ খুব সহজেই হাসপাতাল থেকে এই দুই ধরণের চিকিৎসা করতে পারবেন। তারা টেলিমেডিসিনের আরেক রূপ টেলিস্ট্রকে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ইঙ্গিত পোর্টাল থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছিল। বর্তমানে গোটা রাজ্যে ৩২টি এই পরিষেবা চালু রয়েছে। প্রত্যেক জেলাতেই একটি করে হাসপাতালে এই পরিষেবা রয়েছে। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই তার যাবতীয় তথ্য পৌঁছে যাবে বড়ো হাসপাতালে। সেখান থেকেই রোগীর রিপোর্ট চলে আসবে। এই পরিষেবার ফলে চিকিৎসায় বড়সড় পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।