প্যাশনই এখন প্রফেশন

কলকাতা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- সামনেই ক্রিসমাস। আর ক্রিসমাস মানেই ‘খ্রীষ্টের জন্ম বড়দিন নাম
বহুসুখে পরিপূর্ণ কলিকাতা ধাম।’ তাই সারাবছরের বহু ঘনঘটা পার করে, ক্লেদ-গ্লানি ঝেড়ে, ক্লান্তি সরিয়ে, প্রতি বছরের মতোই কেক-চকোলেটের পসরায় নিয়ে মেতে উঠেছে কলকাতা। মনের দরজা খুলে আর ডায়াবেটিস ভুলে, নতুন নতুন স্বাদে জিভ মজানোর এই তো সময়!

তবে দোকানচলতি সাধারণ কেক অনেকেই পছন্দ করেন না এখন। মনের মতো কিছু বা অন্যরকম কিছু করতে মন চায়। এই পরিস্থিতিতে নতুন নতুন হোমবেকারিই তাদের ঠিকানা।এমনই এক হোমবেকারির নাম হল, ‘ম্যাড চকোলেট’। চকোলেট পাগল মানুষের নতুন ডেস্টিনেশন। সেখানে এবারের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে চকোলেটের তৈরি ক্রিসমাস ট্রি বা স্যান্টা ক্লজ। এই হোমবেকারির নামও চকোলেটের মতোই মিষ্টি, মধুমিতা উপাধ্যায়। তাঁর ডাকনাম ম্যাডি। সেই হিসেবে তাঁর বেকারির নাম ‘ম্যাড চকোলেট’।

তিনি কখনও ভাবেনইনি যে বাড়িতেও চকোলেট তৈরি করা যায়। কমিউনিকেশন স্পেশ্যালিস্ট মধুমিতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ২০১৪-তে রাতারাতি তিনি চাকরি হারান।এভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরে আর পাঁচজন যেভাবে হন্যে হয়ে কাজের সন্ধান করেন, তিনিও তার ব্যাতিক্রম ছিলেন না। মধুমিতা বলেন, ‘কাজের সন্ধান করছি, এমন সময় আমার এক বন্ধু বললেন তাঁর বেকিং ক্লাসে জয়েন করতে। তারপর বেকিং ক্লাসের সঙ্গে এক ঘণ্টার চকোলেটেরও ক্লাস করতাম।যেমন হয় আরকি, বাড়িতে এসে এটা-সেটা বানাচ্ছি। মজাও পাচ্ছি। ফেসবুকে দিতেই অনেকে খাওয়ানোর কথা বললেন। এভাবেই শুরু হয় আমার জার্নি।’

শখকে পেশা করে ফেলতে পারার চ্যালেঞ্জ অনেকেই নিতে পারেন না। বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। সে ক্ষেত্রে পরিবারকে পাশে পেলে স্বপ্ন বোনার কাজটি সহজ হয়ে ওঠে। মধুমিতা জানিয়েছেন সবক্ষেত্রেই সবসময় তার পরিবারকে পাশে পেয়েছেন।একের পর এক প্রদর্শনীতে নিজের তৈরি চকোলেটের কালেকশনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আজ তাঁর শহরের নামী মলে রয়েছে নিজের স্টোর। সেখানে রয়েছে চার চারটি কাউন্টার। মধুমিতা বলেন,’যে ডিজাইনে আমার চকোলেট তৈরি হয় তা অন্তত কলকাতার আর কেউ করেন বলে আমার জানা নেই। যেমন, বিয়ের তথ্য থেকে শুরু করে, শাড়ি, ধুতি, যাবতীয় জিনিস আমি চকোলেট দিয়ে তৈরি করি।’ মধুমিতার সদাহাস্যময় মুখ আর নতুন নতুন আইডিয়ার চকলেট—এই নিয়েই নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছে ‘ম্যাড চকোলেট’।