নিউজ পোল ব্যুরো: ৬৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি তিন বছরের শিশু চেতনাকে। গত ২৩ ডিসেম্বর খেলতে খেলতে ৭০০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় শিশুটি। চেতনাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলেও আরও ভেতরে আটকে যায় শিশুটি। বর্তমানে ৬৫ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।
রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গেলেও সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। তিন বছরের চেতনাকে উদ্ধার করতে এবার মাঠে নামলেন খনি শ্রমিকরা। নিষিদ্ধ ‘র্যাট-হোল মাইনিং’ অর্থাৎ ইঁদুর-গর্ত খনন পদ্ধতিতে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করবেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, মাটি থেকে ১৫০ ফুট গভীরে আটকে রয়েছে শিশুটি। উপস্থিত এনডিআরএফ, এসডিআরএফের টিম। আজ র্যাট-হোল মাইনাররা বোরওয়েলের পাশে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করবে।
কিন্তু এই র্যাট হোল মাইনিং কি? একসময় এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খনি থেকে আকরিক উত্তোলন করা হতো। শ্রমিকদের শাবল দিয়ে সরু গর্ত খনন করতে হতো। এই প্রক্রিয়া খুব বিপজ্জনক। কারণ এই সুড়ঙ্গ অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। ফলে যে কোনও সময় শ্রমিকদের মৃত্যু হতে পারে। ২০১৪ সালে একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে এই র্যাট হোল মাইনিংকে নিষিদ্ধ করে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে, সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে সরকারকে এই নিষিদ্ধ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়েছিল। রাজস্থানের চেতনাকে উদ্ধার করতে নামলেন ‘ইঁদুরের গর্ত খননকারীরাই’।