নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতার এমএলএ হোস্টেলের সুপারকে তদন্ত করে রির্পোট জমা দিতে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন ।
শুক্রবার অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের জানান একই সঙ্গে পুলিশের কাছ থেকেও এ ব্যপারেও তিনি তথ্য চেয়েছেন । তিনি জানান, বিজেপি বিধায়কের সুপারিশে অভিযুক্তদের হস্টেলের ঘর দেওয়া হয়েছে বলে বিধানসভার নথিতে উল্লেখ রয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে কখনও আপস করা হয় না। কিন্তু কোনও বিধায়ক কাকে সুপারিশ করছেন সেটা জানা যায় না। তবে কেউ যদি অসৎ উদ্দেশে ব্যবহার করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে ফোন এসেছিল কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে। ফোনে ৫ লাখ টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে হুগলি থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন পান কালনার চেয়ারম্যান। তাঁকে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে দাবি করা হয়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। বলা হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা থেকে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছে। যেকোনও মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। যদি ৫ লক্ষ টাকা দেন, তাহলে পুলিশি ধরপাকড় থেকে মুক্তি পাবেন। ফোন পেয়ে সন্দেহ হয় কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের। তিনি কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন। শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোবাইল নম্বরটির মাধ্যমে লোকেশন ট্র্যাক করে। দেখা যায় হুগলি থেকে ফোন এসেছিল। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে হুগলি থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা হল জুনেদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মল্লিক এবং শেখ তসলিম। ধৃত জুনেদুলের বিরুদ্ধে এর আগে ভুয়ো ফোন করে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনকে কলকাতা পুলিশ এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করে।