নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতার রাস্তায় ট্রাম ফেরানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল এক নাগরিক সংগঠন। আদালত এই মামলায় একটি কমিটি গঠন করেছিল, যেখানে পুলিশ, পরিবহণ বিশেষজ্ঞ, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছিল। কমিটির কাজ ছিল ট্রাম চালানোর জন্য কী কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখা। কিন্তু, এই মামলা চলাকালীনই রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছিল যে, তারা শহরে ট্রাম চালাতে আগ্রহী নয়। মামলাকারী সংগঠন অভিযোগ করেছে যে, সরকার হাতে গোনা কয়েকটি রুট থেকেও ট্রাম তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি, আদালতের গঠিত কমিটির সুপারিশকেও উপেক্ষা করা হচ্ছে।
এরপর, ট্রাম চলতে না পারার জন্য কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট এবং খিদিরপুরে ট্রামলাইনকে পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ রুটেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পাইপলাইন মেরামতের কথা বলে এই রুটে ট্রাম পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। মেরামতি শেষ হওয়ার পরেও পরিষেবা শুরু করা হয়নি। রাজ্য পরিবহণ নিগমের দাবি, লাইন মেরামতি যথাযথ ভাবে না হওয়ায় তা ট্রাম চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়। এসপ্লানেড-খিদিরপুর রুটেও একই সমস্যা রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এই রুটে ট্রাম চালানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, ট্রাম চলাচল না করা রুটে দুর্ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘কলকাতা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকার আদালতের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ট্রাম তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তারা জানিয়েছেন যে, পরিস্থিতি অনুকূল হলে ট্রাম চালানো নিয়ে তাদের আপত্তি নেই।