বন্দি জীবনে মাংসে রুচি নেই, কী হল?

breakingnews কলকাতা রাজ্য শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঘুরতে ঘুরতে বাংলায় প্রবেশ। তারপর জঙ্গল মহলের একাধিক জেলার জঙ্গল বিচরণ করে এখন খাঁচা বন্দি বাঘিনী জিনাত। বর্তমানে সে আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তাকে খেতে দেওয়া হয়েছে মাংস। কিন্তু এ কী কাণ্ড মুখে রুচছে না মাংস। ওআরএসের জল ও দুধ খেয়ে চলেছে জিনাত। চিন্তায় পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

একটানা ৯ দিন ধরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার জঙ্গলে নিজের মেজাজে ঘুরে বেড়িয়েছে জিনাত। জঙ্গলমহলের মানুষদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাকে খাঁচা বন্দি করে ফের ওড়িশায় ফেরত পাঠানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদফতরের তরফে ধরার প্রস্তুতি চালানো হয়। যার ফলে তাড়া খেয়ে এদিক থেকে ওদিকে ছুটে বেড়িয়েছে বাঘিনি। এত ধকল সহ্য করে কেমন আছে সে, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই বাঘিনিকে নিয়ে আসা হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে। তবে, সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তা দেখে স্বস্তি পাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে বন দফতরকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে বাঘিনি জিনাত। ঝাড়গ্রাম থেকে পুরুলিয়া, সেখান থেকে বাঁকুড়া, জঙ্গলের ভেতর মাইলের পর মাইল হেঁটেছে সে। পথে যা পেয়েছে খেয়েছে, যেমন খুশি চলাফেরা করেছে। শেষ পর্যন্ত ঘুমের ইঞ্জেকশনে কাবু হয়ে ধরা পড়েছে। বর্তমানে সে রয়েছে আলিপুরের পশু হাসপাতালে। কিন্তু ধরা পড়ার পর থেকেই মাংসে অরুচি দেখা যাচ্ছে জিনাতের! মাংস মুখের সামনে দেওয়া হলেও ছুঁয়ে দেখছে না জিনাত।

চিকিৎসরা মনে করছেন, এই ৯ দিনে জিনাত পর্যাপ্ত ছাগল, মুরগি বা শুয়োরের মাংস খেয়েছে। ফলে পশু হাসপাতালের মাংস ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে না তার। পাশাপাশি, ৪ টি ট্রানকুলাইজারের প্রভাব এখনও সম্পূর্ণ কাটেনি। তার শরীরে এখনও ওষুধের যথেষ্ট প্রভাব থেকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার আগে তিনটি ছাগল খেয়েছে জিনাত।
আরও একটা বিষয় হল, মুক্ত পরিবেশ থেকে হঠাৎ বন্দি জীবনে চলে গিয়েছে সে।

তাই প্রশ্ন হল, স্বাধীনতা হারিয়ে কী মন খারাপ? তাই কি কোনও খাবার মুখে রুচছে না তার?