নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ- শহরের নামিদামি ক্লাব থেকে বার ও রেস্তোঁরা বা হোটেলের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি অভিযোগ নতুন নয়। বিশেষকরে বড় দিন থেকে নিয়ে নতুন বছরের উপলক্ষে বিভিন্ন এন্টারটেইনমেন্ট ইভেন্টসের আয়োজন করে বিভিন্ন ক্লাব বা হোটেল। উৎসবের মরশুমে বিদেশী কলাকুশলীদের নিয়ে নিউইয়ার পার্টি আয়োজন করা হয়। তবে তাঁরা কলকাতা পৌরসংস্থার বিনোদন কর বা অ্যামিউসমেন্ট ট্যাক্স দিতে অনীহা দেখায় ক্লাব থেকে বার সহ রেস্তোঁরার মালিকরা। তাই এবার ২৩ ডিসেম্বরের ক্রিস্টমাস পার্টি থেকে নিউইয়ার পার্টিতে একাধিক জায়গায় হানা দেয় কলকাতা পৌরসংস্থার বিনোদন বিভাগের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, কলকাতা পৌরসংস্থার আধিকারিকেরা অপ্রত্যাশিত পরিদর্শন করে বিভিন্ন ক্লাব থেকে হোটেল ও পানশালায় হানা দেয়। যাদের বিরুদ্ধে অ্যামিউসমেন্ট ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। সেই সমস্ত ক্লাবগুলো,বার ও হোটেল থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করল কলকাতা পৌরসংস্থার বিনোদন বিভাগ। কলকাতা পৌরসংস্থার নিয়ম অনুসারে বিশেষ দিনগুলির জন্য কোনো ইভেন্ট করলে তার জন্য আলাদা করে অনুমোদন নিতে হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ক্লাব ও হোটেল গুলিকে। তাই তাঁদের নিয়ম মেনে শহরজুড়ে পার্কস্ট্রীট থেকে বেন্টিক স্ট্রীট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ,চাঁদনী চক, শেক্সপিয়র সরণি থেকে রাসেলস্ট্রীট, বাইপাস। প্রত্যেকটি জায়গায় বিভিন্ন ক্লাব ,বার রেস্তোঁরা ও হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের অনুমতি না নিয়ে বাড়তি অনুষ্ঠানের আয়োজনের অভিযোগে মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা আদায় করে কলকাতা পৌরসংস্থার বিনোদন বিভাগ। এছাড়া অনেক জায়গায় প্রদর্শনী, মেলা বা স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সমস্ত জায়গায় হানা দিয়ে কর ফাঁকিদাতাদের থেকে জরিমানা আদায় করা হল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কলকাতা পৌরসংস্থার বিনোদন কর দেয় না, আবার কেউ কেউ অনুমতি নিলেও অনুমোদনের বাইরে গিয়ে টিকিট বা পাস বিক্রী করে থাকে। ফলে কোথায় না কোথাও বিনোদন কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা এই সমস্ত ক্লাব, বার, হোটেল বা এক্সিবিশন করার নামে মেলা গুলির থেকে উঠে আসে। বিশেষকরে মধ্যরাতের পরে এই অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন নামিদামি ক্লাব ,হোটেল এবং পানশালায় অভিযান চালিয়ে কলকাতা পৌরসংস্থার বিনোদন বিভাগের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানার নোটিশ ইতিমধ্যে কর ফাঁকি সংস্থা গুলিকে ধরানো হয়েছে। যার ফলে এখন পর্যন্ত কলকাতা পৌর সংস্থার কোষাগারে ৬ লক্ষ টাকার লক্ষী লাভ হয়েছে বলে পৌর সংস্থা সূত্রের খবর।