ডিজিটাল মালখানা

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা মালপত্রের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবার সেই উদ্যোগে সামিল হল হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। পোলবা থানায় আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হল ডিজিটাল মালখানা। পুলিশ বিভিন্ন মামলায় বহু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে যার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, মূল্যবান সামগ্রী ইত্যাদি থাকে। এগুলি থানার মালখানায় সংরক্ষিত করা হয়। প্রমাণ হিসাবে আদালতে তা পেশ করাও জরুরি। তবে অতীতে মালখানার সামগ্রী হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। এই সমস্যা মেটাতেই হুগলি গ্রামীণ পুলিশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে।

ডিজিটাল মালখানায় বাজেয়াপ্ত জিনিসগুলো বারকোডের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। প্রতিটি সামগ্রী ভালোভাবে প্যাকিং করে তার ওপর বারকোড লাগানো হবে। কেস নম্বর দিয়ে বারকোড স্ক্যান করলে, সংশ্লিষ্ট মামলার সমস্ত বাজেয়াপ্ত সামগ্রী কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে, তা সহজেই জানা যাবে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এই প্রযুক্তি ব্যবহারে দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা নজির স্থাপন করেছে। তারা জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে আয়োজিত ২৭তম ই-গভর্ন্যান্স জাতীয় সম্মেলনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। চন্দননগরের সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশও ডিজিটাল মালখানা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে। ১৪ জানুয়ারি পোলবা থানায় এই ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সুপার কামনাশিস সেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসপি (ডিএন্ডটি) প্রিয়ব্রত বক্সি এবং পোলবা থানার ওসি নাজিরুদ্দিন আলি উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, পোলবা থানার ওসি নাজিরুদ্দিন আলি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে থানার কাজের মানোন্নয়ন করছেন। তারই মধ্যে অন্যতম এই ডিজিটাল মালখানা। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অধীন অন্যান্য থানাগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্তর থেকেও যাতে বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর ওপর নজর রাখা যায়, সেই ব্যবস্থাও ধীরে ধীরে করা হবে বলে জানানো হয়েছে।