নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলিঃ আমরা সকলেই বইমেলা,ফুলমেলা,মিলন মেলা সহ আরও বিভিন্নরকম মেলার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু কখনও শুনেছেন ‘আলুর দমের মেলা’! হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। অবাক করার মতই বিষয় এই ‘আলুর দমের মেলা’। মেলাটি চলছে হুগলির (Hooghly) জাঙ্গিপাড়া থানার অন্তর্গত রাজবলহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জান্দা গ্রামে।
Bizarre: মস্তিস্ক ছাড়াই চলে জীবন এই পাঁচ প্রাণীর
এই আলুর দমের মেলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে মেলা প্রাঙ্গণে। জানা গিয়েছে, কয়েক দশক বছর আগে মকর সংক্রান্তির দিনে এই গ্রামে আলুর দমের মেলা বসে। হুগলি (Hooghly) জেলাবাসীর কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে এই মেলা। অন্যদিকে সম্প্রীতির মেলবন্ধনের নিদর্শন হিসেবে ধরা হয় এই মেলাকে কারণ একদিকে মুসলিম ধর্মালম্বীদের পীরের মেলা চলে অন্যদিকে একই স্থানে চলে গঙ্গা দেবীর আরাধনা। বলা যেতে পারে এই মেলা দুই ধর্মালম্বী মানুষের মিলনক্ষেত্র। বহু মানুষ এই মেলায় ভিড় জমান। মকরসংক্রান্তিতে ভক্তরা পুণ্যস্নান সেরে ওই মেলায় যান এবং সদ্য জমি থেকে তোলা আলু দিয়ে তৈরি করা আলুর দম খেয়ে পেট তৃপ্ত করেন ভক্তরা।
https://www.facebook.com/share/p/14ntxvWaWn/
মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরণের আলুর দম বিক্রি হয়। এছাড়াও আলুর দমের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরণের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। কোথাও বাঁশের ঝুড়ির দোকান, কোথাও বেতের বোনা ধামাখুলের দোকান। বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য বসেছে নাগরদোলা। বসেছে বিভিন্ন ধরণের খাবারের দোকান। মেলা উপলক্ষে সতর্কতামূলক একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
https://www.youtube.com/@newspolebangla
গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। মকর সংক্রান্তির দিন বহু মানুষ দামোদরে পুণ্যস্নান করেন। সেই স্নান সেরে মেলায় এসে আলুর দম, মুড়ি খান। শুধু তাই নয়, অনেকে এমনিও মেলায় আসেন ঘুরতে। বাড়ি থেকে মুড়ি, আলুর দম নিয়ে আসেন তাঁরা। মাঠে বসে সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া করেন।
রাজবলহাট-১ গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দীপ শীল জানান, এখানে ২০০ বছরের পুরোনো পীরের মেলা হয়। সেই মেলার পাশাপাশি মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গার আরাধনা করা হয়। পাশাপাশি দুই সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্যোগে এই মেলা এখন মিলন মেলা, যা সম্প্রীতির কথা বলে।
