নিজস্ব প্রতিনিধি, বারুইপুর : মা মানেই মমতা আর মা মানেই নিরাপদস্থল। কিন্তু মা যখন নিজেই তার সন্তানের খুনি হয় তার চেয়ে আর খারাপ কি হতে পারে। এরকমই এক ঘটনা ঘটে গেল নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহতে, যেখানে নিজের ৮ বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। ছেলেকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল মহিলা নিজেই। এরপর অভিযুক্তকে মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ওই অভিযুক্তকে পেশ করা হবে বারুইপুর মহকুমা আদালতে। খুনের কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি।
পুলিশ সূত্রে খবর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌ লিহাটির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রীর নাম তনুজা মণ্ডল। তাঁদের দুটি পুত্র সন্তান হয়। মাত্র ছ’-সাত মাস বয়সে ছোট ছেলের মৃত্যু হয়। তখনও মায়ের বিরুদ্ধে ছেলের খুনের অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার বড়ছেলের বিরুদ্ধে কুনের অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম দেবজিত মণ্ডল (৮)। সে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার সকালে দেবজিতের বাবা প্রসেনজিৎ মন্ডল ব্যবসার কাজে বাইরে যায়। ওই ব্যক্তি পেশায় মাছের ব্যবসায়ী। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই ছিল তনুজা মন্ডল। ওই ছাত্রের ঠাকুমা সকালে ১০তাই তাদের বাড়িতে আসেন। তিনি এসে নাতির খোঁজ শুরু করেন। সেইসময় বাড়িতে ছিল না তনুজা মন্ডল। তিনি প্রতিবেশীদের কাছেও জিজ্ঞাসা করেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কোন খোঁজ না পেয়ে তিনি চিৎকার করেন। এরফলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে। তারাই খাটের মধ্যে কম্বল চাপা অবস্থায় উদ্ধার করে ওই ছাত্রের মৃতদেহ।
তৎক্ষণাৎ তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এরপর অভিযুক্ত ওই মহিলার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই মহিলা তারপর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। সারা এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এলাকার উত্তেজিত মহিলারা তার উপর হামলে পড়ে। লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।