এবার হাতিদের চলাচলে তৈরি হবে করিডর: নবান্ন

কলকাতা জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতির হানায় মানুষের প্রাণহানী রুখতে আরও উদ্য়োগী হচ্ছে রাজ্য় সরকার। হাতিদের চলাচলের জন্য করিডর তৈরির পাশাপাশি হাতির হামলা থেকে মানুষকে বাঁচাতে প্রত্যন্ত এলাকায় শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতির হানা রুখতে করিডর তৈরি করার কথা জানিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার আগামী পাঁচ বছরে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যে ৭টি হাতি করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি হাতি করিডর ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৪০০ মিটার চওড়া হবে। এর জন্য ৬২৫ থেকে হাজার হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে বলে মনে করা হয়েছে। হাতির জন্য পর্যাপ্ত জল ও খাবারের ব্যবস্থা রাখা হবে। এইজন্য জলাশয় খনন ও হাতির পছন্দের ঘাস লাগানো হবে। চলাচলের পথে জলের ব্যবস্থা এবং খাবারের সংস্থান থাকলে তারা লোকালয়ে বা চাষের ক্ষেতে হানা দেবেনা বলে আশা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক কালে বাংলার বিভিন্ন জেলায় প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতি। জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হাতির তাণ্ডব লেগেই রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে শৌচাগার না থাকার কারণে জঙ্গলে শৌচকর্ম করতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। নবান্ন সূত্রের খবর, স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় এই সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে শৌচালয় তৈরি করা হবে। যদিও এই মিশনের আওতায় এরই মধ্যে বহু বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এবং জনজাতিভুক্ত এলাকায় অবশ্য এর কাজ বাকি রয়েছে। আধিকারিকদের মতে, হাতির হানায় বাংলায় গড়ে ১০০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। সেখানে মৃতদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যাঁদের বাড়িতে শৌচাগার নেই। কারণ অনেকেই রয়েছে যারা মাঠে-ঘাটে শৌচকর্ম করতে গিয়ে হাতির হামলার মুখোমুখি হয়েছেন। তাই এই সমস্ত এলাকার প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ নিয়ে জোর দিতে চাইছে নবান্ন ।