নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি স্টেডিয়ামে প্রথমবার বসেছিল খো খো বিশ্বকাপের আসর। চলতি মাসের ১৩ থেকে ১৯ পর্যন্ত বসেছিল খো খো বিশ্বকাপের আসর। তাতে পুরুষদের ২০ টি দেশ মহিলাদের ১৯ টি দেশ অংশ নেয় তাতে। পুরুষদের যে টিম নেপালকে হারিয়েছে সেই দলে বাংলা থেকে একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করেছেন চুঁচুড়ার সুমন বর্মন। সেই সুমন এবার বাড়ি ফিরলেন।
চুঁচুড়া মিলন পল্লীর দিন মজুরের ছেলে সুমন বিশ্বকাপ জিতেছে। ফুল মালা বাজনায় বরণ করল এলাকাবাসী। আনন্দে খুশি প্রতিবেশীরাও। হুগলিতে ফিরে সুমন জানায়, তার একটা চাকরির খুব দরকার। চাকরি পেলে তার পরিবারের অবস্থা কিছুটা ভালো হবে বলে জানায় সুমন। সুমনের পরিবারের অবস্থা কি সেটা সবাই জানে। খেলার মাঠে প্রতিটি দলই ছিল শক্তিশালী,তার মধ্যে নেপাল ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। সুমনের পাড়া প্রতিবেশী ও পরিবার তার পাশে থেকেছে সবসময়।সাহায্য করেছে সব পরিস্থিতিতেই। খেলার সরঞ্জাম থেকে শুরু করে পাড়ার দাদা দিদিরাও সুমনকে সাহায্য করেছে। তার কোচও তাকে সবসময় উৎসাহিত করে গিয়েছে।
খেলার দিন সুমনের পাড়ার ক্লাবে তার বন্ধু এবং প্রতিবেশীরা বাঘাযতীন মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখে তারা জয় উদযাপন করেছে। কিন্তু সেই সময় সুমনের বাবা ও মা কাজের সূত্রে বাইরে থাকায় ছেলের সাফল্য সরাসরি দেখতে পাননি। তবে বাড়ি এসে শোনেন ছেলের বিশ্বকাপ জয়ের গল্প। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে ছেলে বিশ্বকাপে জিতে ফিরেছে। খুশি বাবা মা। বিশ্বকাপ জয়ী সুমন চায় এখন একটা চাকরি যাতে তার পরিবারকে সাহায্য করতে পারে এবং তাঁরা ভালোভাবে বাঁচতে পারে। সুমনের ওই সাফল্যে তাঁর কোচ কৃষ্ণরঞ্জন চক্রবর্তী এবং সহকারী কোচ সুজিত সাহা অত্যন্ত খুশি।