ট্যাটু করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার

দেশ বিনোদন

নিউজ পোল ব্যুরো : একজন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারের আকস্মিক মৃত্যুর খবরটি সম্প্রতি সকলকে চমকে দিয়েছে। ৪৫ বছর বয়সী এই সোশ্যাল মিডিয়া স্টার পিঠে ট্যাটু করাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাটি যখন ঘটেছে তখন তিনি তাঁর ফলোয়ারদের জন্য লাইভও চালাচ্ছিলেন। এই ঘটনার পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক শোকবার্তা ও উদ্বেগের প্রকাশ ঘটেছে।

ওই ইনফ্লুয়েন্সারের এখনও সামনে আসেনি। তবে জানা গেছে, তিনি নিজের প্রোফাইলে বহু বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ফিটনেস ও স্টাইল সম্পর্কিত কনটেন্ট শেয়ার করতেন। তাঁর ট্যাটু নিয়ে আগ্রহ ছিল এবং তিনি এর আগে নানা ধরনের ডিজাইন শেয়ার করেছিলেন। এদিন তিনি এক নতুন ট্যাটু করানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং পিঠে এক বিশাল ডিজাইন আঁকার জন্য প্রস্তুতি নেন। তবে, কনুইয়ের নিচে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁর শরীরে অসুস্থতা দেখা দেয় এবং তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই অকাল মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে একে স্বাভাবিক জীবনের প্রতি অজ্ঞতার ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন, আবার কেউ কেউ এটি আরও গভীরভাবে আধ্যাত্মিক বা শারীরিক প্রস্তুতির অভাব হিসেবে মন্তব্য করেছেন। বহু ফলোয়ার এই মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক হয়ে যান, কারণ ইনফ্লুয়েন্সারটি প্রায়শই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ট্যাটু সংস্কৃতি নিয়ে পজিটিভ কনটেন্ট শেয়ার করতেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইনফ্লুয়েন্সারের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অতিরিক্ত শারীরিক চাপ, যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে ট্যাটু করানো একটি শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এবং তার ওপর হৃদরোগের ঝুঁকি থাকলে তা জীবনের জন্য বিপদজনক হতে পারে। অনেকেই এখন ভাবছেন, এই ঘটনায় ট্যাটু শিল্পের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাবে কিনা। তাঁর মৃত্যুর পর, অনুরাগীরা শোক প্রকাশ করছেন এবং শেয়ার করছেন তাঁকে স্মরণ করে নানা মর্মস্পর্শী পোস্ট। মৃত্যুর পরও তিনি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের মাধ্যমে অনেক মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন, এমনটাই বলছেন অনেকেই।