নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : গত ২৩শে জানুয়ারি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের জন্মদিন উপলক্ষে সল্টলেকের একে ব্লক অ্যাসোসিয়েশন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইস্পাত সল্টলেক’ যৌথভাবে আয়োজন করেছিল এক বিশেষ বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, যার নাম ‘কাম লেটস পেইন্ট’। এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ৮০০ জন শিশু অংশগ্রহণ করে, যাদের বয়স বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে বিভক্ত ছিল। শিশুদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা সল্টলেকের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক উদ্যোগ হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি (ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন) ডক্টর পার্থ কর্মকার, ইস্পাত সল্টলেকের সেক্রেটারি রিতেশ বসাক, এবং ব্লকের বিভিন্ন প্রতিনিধি, যেমন সভাপতি অরুণ বিশ্বাস, সম্পাদক প্রিয়ব্রত প্রামাণিক, জয়দীপা মিত্র, প্রযুক্তা বণিক, চিত্রা সরকার, রাজা বণিক সহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। একেকে ব্লক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ব্রত প্রামাণিক বলেন, ‘প্রতিবছর ২৩শে জানুয়ারি আমরা বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করি, তবে এবছর ইস্পাত আমাদের সঙ্গে থাকায় আরও বড় আকারে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হয়েছে।’
ডক্টর পার্থ কর্মকার এই আয়োজনকে সাধুবাদ ও শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে সহায়ক। ভবিষ্যতে সল্টলেকের অন্যান্য ব্লকেও এমন আয়োজন হলে তা শিশুদের মানসিক ও শৈল্পিক উন্নতিতে সাহায্য করবে।’ ইস্পাত সল্টলেকের সেক্রেটারি রিতেশ বসাক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বলেন, ‘শিশুদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করে থাকি। আজকের প্রতিযোগিতায় বাবা-মায়েরাও ধৈর্যের সঙ্গে বাইরে অপেক্ষা করছেন, যা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। ব্যস্ত জীবনে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুদের সময় কাটানোর সুযোগ কমে যাচ্ছে, কিন্তু এই ধরনের ইভেন্ট তাঁদের একত্রিত করে। বাবা-মা যদি সন্তানদের সময় দেন, তাহলে ভবিষ্যতে সন্তানরাও তাঁদের প্রতি যত্নশীল হবে।’
একে ব্লকের পক্ষ থেকে রাজা বণিক বলেন, ‘শিশুদের দেখে আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তখন আমরাও বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। আজকের দিনে এত ব্যস্ততার মধ্যেও এত শিশু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে, যা সত্যিই আনন্দের।’ প্রতিযোগিতার শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়, এবং প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য ছিল বিশেষ উপহার। এই আয়োজন শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি, সমাজে সাংস্কৃতিক চেতনা বৃদ্ধিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করল।