Mount Everest: এভারেস্টের পথে ৬ বছরের আরিস্কা

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দেশ রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরোঃ- একটা সময় ছিল যখন ৬ বছর বয়স মানে প্রথম শ্রেণী, কিন্তু বর্তমান যুগে তিন বা চার বছর বয়স থেকেই ছোট্ট খুদের দল এখন ইস্কুলের গন্ডির মধ্যে যেতে শুরু করে। আর সেই অর্থে যদি তর্কের খাতিরেও ধরা যায় তাহলেও একজন ছয় বছরের ইস্কুলে যাওয়া শিশু কিই বা আর করতে পারে কিন্তু পুনের সেই ছোট্ট খুদে রীতিমতো ইতিহাস গড়ে দিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত এভারেস্টে (Mount Everest) উঠে। পুনের আরিস্কা লাড্ডাএমনই কীর্তি অর্জন করে ফেলেছে যা সকলের কাছেই এক অনন্য নজির হয়ে গিয়েছে।

Tamil Nadu: তামিলনাড়ুর দ্বীপগুলো কি আপনার পরবর্তী ভ্রমণ গন্তব্য হতে পারে?

মা ডিম্পল লাড্ডা,তিনি নিজেও একজন ক্রীড়াবিদ সঙ্গে তাঁর এই ছয় বছরের খুদে কন্যা আরিস্কাকে নিয়ে ১৫ দিনে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট (Mount Everest) বেস ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়েছেন। যেখানে পৌঁছাতে গেলে মনের জোর থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,তাঁরা দুজনেই সেই দুর্গম রাস্তাকে অতিক্রম করে -১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার সম্মুখীন হন। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, আরিষ্কা ৭-৮ স্তরের গরম পোশাক পরে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করেন। যা সকলের কাছেই এক অনুপ্রেরণা হয়ে গিয়েছে যেখান থেকে বয়স যে কোনো সীমাবদ্ধতা হতে পারে না কোনো কিছুতেই তা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে আরিস্কার এই কৃতিত্ব।

https://www.youtube.com/@newspolebangla

আরিষ্কা দেখিয়ে দিয়েছেন যে বড় স্বপ্ন দেখার জন্য ছোট বয়স কোনও অন্তরায় নয়। আরিষ্কার কৃতিত্ব তাঁর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছানোর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে সাহসিকতা এবং পরিশ্রমের মিশ্রণ দিয়ে জীবনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলিও অতিক্রম করা সম্ভব যদি নিজের আত্মবিশ্বাস থাকে সবসময়। তাঁর অর্জন শুধুমাত্র তাঁর পরিবার বা শহরের জন্য নয়, গোটা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়।