নিজস্ব প্রতিনিধি: বসন্তের আগমনী বার্তা যেন শীতের প্রস্থান ঘটাতে শুরু করেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শীতের শেষ ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আপাতত রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে অবস্থান করবে এবং ধীরে ধীরে তা ঊর্ধ্বমুখী হবে। সরস্বতী পুজোর সময় তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে, ফলে বাগদেবীর আরাধনায় বেশ উষ্ণ আবহাওয়াই প্রত্যাশিত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার কোনো বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে বুধবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। জানুয়ারির শেষ এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমে কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও তাপমাত্রা চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। ২৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হতে শুরু করবে। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে মঙ্গলবার এবং বুধবার হালকা বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং কিছু ক্ষেত্রে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, এই দু’দিন কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কুয়াশা দেখা যেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুর জেলাতে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশা দেখা যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ০.৫ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ০.৫ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৬ শতাংশ ছিল। সবমিলিয়ে, শীত ধীরে ধীরে বিদায় নিলেও আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রতি নজর রাখতে হবে। উষ্ণতার ছোঁয়া নিয়ে বসন্ত আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে বঙ্গবাসী।