নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি : হুগলিতে এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বছর খানেক আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ে করেছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু গত সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েটি শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মগড়া থানার পুলিশ মামলা রুজু করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৮৫/৮০(২)/৩(৫) বিএনএস ও ৬(১) পক্ষ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
মৃতার পরিবারের দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষন পরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, মগড়া স্টেশনের কাছে তাঁদের মেয়েকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে গিয়ে তাঁদের মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন। ঐদিন রাতে জামাই ফোন করে জানায়, ওই নাবালিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখে মেয়েটি বিছানায় পরে আছে। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মগড়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুড়বাড়ির কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি বা চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এর থেকে সন্দেহ আরও গাঢ় হয় যে, এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত খুন। তাঁরা আরও বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পুলিশ এরমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই নাবালিকার স্বামী ও শ্বশুর ছাড়াও আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে প্রতিবেশীরা।
