নিউজপোল ব্যুরো: দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করার লক্ষে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনালাপ। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা যেতে পারেন, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প। সোমবার ট্র্যাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মোদী এবং এই আলোচনার পর ট্র্যাম্প নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে ফেব্রুয়ারিতে মোদী হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন।
ট্র্যাম্প তাঁর বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে জানিয়েছেন, মোদীর সঙ্গে তাঁর অনেক্ষন কথা হয়েছে। সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতেই হোয়াইট হাউসে আসছেন এবং ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক আছে। তবে ফোনালাপে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচিত হয়েছে, তা তিনি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেননি।
মোদী এবং ট্রাম্পের সম্পর্ক ব্যক্তিগতভাবেও অত্যন্ত মসৃণ। ২০১৯ সালে হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে মোদীর বক্তৃতা এবং ২০২০ সালে গুজরাতে ‘নমস্তে ট্র্যাম্প’ অনুষ্ঠানে ট্র্যাম্পের বক্তৃতা এই দুই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় দুই রাষ্ট্রনেতার সম্পর্ক। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং দু দেশের মধ্যে রাষ্ট্রনেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক মসৃণ হলেও ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কিছু নীতি গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার স্বার্থকে সর্বোচ্চ অধিকার দেওয়া। এর ফলে ভারত সহ অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি কিছু কঠোর অবস্থান নিতে শুরু করেছে ট্র্যাম্প প্রশাসন।
বিশেষত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি পাওয়া গেলে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও আমেরিকা সফরকালে এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে আসছে, যার মধ্যে বাণিজ্য,নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অন্যতম। এসব বিষয়ে দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
২০ জানুয়ারি ট্র্যাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে মোদীর না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সংশয় কাটিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ট্র্যাম্প ও মোদী মুখোমুখি হতে পারেন। এছাড়া, এপ্রিল মাসে ট্র্যাম্পের ভারতে আসার সম্ভবনা রয়েছে। এই জল্পনার মধ্যেই সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে ।