নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ রবিবার নাকি সোমবার? এই বছর সরস্বতী পুজো ঠিক কবে? এই নিয়ে বছরের শুরু থেকেই ধাঁধায় ফেঁসেছেন অনেকেই। আর তাঁদের মধ্যে যদি পড়েন আপনিও, তবে এই নিবেদন আপনার জন্যই। ২ নাকি ৩ ফেব্রুয়ারি বাগদেবীর আরাধনা সঠিকভাবে বুঝে যাবেন আপনিও।
আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই বাগদেবীর আরাধনা, এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে চারিপাশে। অবশ্য বাঙালির কাছে সরস্বতী পুজো কেবলই দেবীর আরাধনা নয়, সঙ্গে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যেই এই দিনটিকে নিয়ে আগ্রহ এখন তুঙ্গে। কিন্তু সেই দিনক্ষণই নাকি গুলিয়ে যাচ্ছে অনেকের? রবিবার নাকি সোমবার পুজো তাই নিয়ে দানা বাঁধছে জটিলতা।
দৃকপঞ্জিকা অনুযায়ী, ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সকাল ৯টা ১৪ মিনিট থেকে সোমবার সকাল ৬টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত থাকছে পঞ্চমী তিথি। অর্থাৎ দুই দিনের মধ্যে কোনও দিনই পুজো করা যাবে বাগদেবীর। আপনি চাইলে দুইয়ের মধ্যে যেকোনও একদিন বাগদেবীর আরাধনা করতেই পারেন। সেদ্ধ রান্নাও করতে পারেন এর মধ্যে যে কোনও একদিন।
বাগদেবীর আরাধনার সঙ্গেই গোটা সেদ্ধ শীতল ষষ্ঠীরও যোগ থাকে। অনেকেই পুজোর দিনক্ষণ বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দোটানায় পড়েন এই দিনটির খোঁজে। এক্ষেত্রে যেদিন পুজোর সম্পন্ন করবেন সেই দিনেই করতে পারেন গোটা সেদ্ধ। সুতরাং ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার গোটা সেদ্ধ রান্না করা যেতে পারে। পরের দিন ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে ষষ্ঠীপুজোর পর ওই গোটা সেদ্ধ খেতে পারবেন।
যদি রবিবার পুজোর সম্পন্ন হয় তাহলে সোমবার পর্যন্ত রাখতে পারেন গোটা সেদ্ধ। আবার যদি সোমবার পুজো করেন তবে গোটা সেদ্ধ রাখতে পারেন মঙ্গলবার। কারণ বাঙালি বাড়ির রীতি অনুযায়ী গরম নয় বরং পরের দিন ঠান্ডাই খাওয়া হয় এটি। আবার কুলের চাটনি খাওয়ারও রীতিও রয়েছে অনেক বাড়িতে।
বিদ্যা দেবীর পুজোর দিনে করণীয় কী: পুজোয় বসার আগে শুদ্ধ করতে থাকা আবশ্যিক। স্নান সেরে পরিধান করুন শুদ্ধ বস্ত্র। সাদা অথবা হলুদ রংয়ের পোশাক পরিধান করুন। আগের দিন নিরামিষ খাবার খাওয়াই শ্রেয়। ওই দিন দানধ্যান করা ভালো, তাই পারলে দানধ্যান করুন।