দোতলা বাড়ি তাতেও আবাস যোজনা! নাম বিজেপি উপপ্রধানের

breakingnews জেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: আবাস যোজনা নিয়ে এ রাজ্যে আগাগোড়াই একাধিক জায়গা থেকে উঠে এসেছে দুর্নীতির অভিযোগ। পাকা বাড়ি থাকার সত্বেও নাম রয়েছে তালিকায়, একথা একাধিকবার বলতে শোনা যায় বিভিন্ন এলাকায়। এ বিষয়ে অভিযোগ তোলেন কখনও সাধারণ মানুষ কখনও আবার রাজনৈতিক নেতারা। এ বিষয়ে কখনও রাজ্যের বিরোধীরা দুর্নীতির তীর ছুড়েছে বর্তমান সরকার তৃণমূলের দিকে। কখনো বা আবার উল্টো নিদর্শনও মিলেছে।

অপরদিকে আবার আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র এ নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রাজ্য সরকারের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে বারে বারে অভিযোগের সুর চড়িয়েছেন। পাল্টা কেন্দ্রে তরফে বলা হয় দুর্নীতি করেছে রাজ্য। কিন্তু এবার অন্য নিদর্শন দেখা গেল মালদার মানিকচকে, সেখানে আবার রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি পেলেন বিজেপির উপ-প্রধানের স্বামী কৃষ্ণ মন্ডল। এই নিয়ে তোপ দাগলেন বামফ্রন্ট নেতা দেবজ্যোতি সিনহা। আপনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

এখনো পর্যন্ত বহু সাধারণ মানুষের নাম ওঠেনি আবাস যোজনা তালিকায়, সেই জায়গায় দাড়িয়ে ঘর পাচ্ছেন দোতলা বাড়ির মালিক। সেও আবার যে সে নয়! খোদ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান। অভিযোগ উঠছে বিজেপি পরিচালিত নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর উপপ্রধান পিংকি মন্ডলের স্বামী কৃষ্ণ মন্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বাম ও তৃণমূল উভয়েই।

এ বিষয়ে বিজেপি জেলা নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘ও নিরীহ সাধারণ লোক, লেবার খেটে খায়। ওর বাবার বাড়ি আছে।নিজের বাড়ি ও করবে।সরকারিভাবে বাংলা আবাস যোজনার টাকা এসেছে তার স্বামীর নামে কৃষ্ণ মন্ডল। গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বার আছে বলে ঘর পাবে না , এগুলো তো কোথাও লেখা নেই।উনি রীতিমত ঘর করবেন।এবার এই সরকারের সমস্যা আছে,যাদের ঘর পাওয়ার প্রয়োজন তারা পাচ্ছেনা বা পৌঁছাচ্ছেনা।তৃণমূলের কেডার বা যারা তৃণমূলকে সমর্থন করে তারা সব সুযোগ পায়।’
তার ভুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বা বিজেপির কোনোরকম দোষ নেই, স্পষ্ট জানিয়েছেন জেলা নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডল। এদিকে নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশীষ মন্ডল আবার দোষ দিয়েছেন বিডিওর ওপরে। তাঁর কথায় ‘যা করেছেন বিডিও স্যার করেছেন’।