নিউজ পোল ব্যুরো: বাগদেবীর আরাধনায় এবার নতুন উদ্ভাবনা। রাজ্যজুড়ে চলছে দেবী সরস্বতীর আরাধনা (Saraswati Puja) । এই উপলক্ষে সকল স্তরের মানুষ,পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ সবার মধ্যেই এক আনন্দের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এবার লিঙ্ক লিমিটেড সংস্থার উদ্যোগে, সরস্বতী (Saraswati Puja) মূর্তিটি তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র পুনর্ব্যবহারযোগ্য কলম দিয়ে। এই অভিনব মূর্তিটি তৈরি করেছেন একজন শিল্পী। মূর্তির প্রতিটি অংশ নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। মাটি, দড়ি, রঙের বদলে সম্পূর্ণরূপে পেন্টোনিক কলম ও কিছু কাগজের ব্যবহার করে মূর্তিটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মূর্তিটি সকলেরই নজর কেড়েছে।
নিউজ পোল ইউটিউব লিংক: https://youtu.be/P29UjdiL1dw?si=X9tLLJp6AZAGoS8I
মূর্তিটি ছোট নয়, এটি প্রায় চার ফুট লম্বা এবং আড়াই ফুট চওড়া। এই মূর্তির জন্য বিপুল সংখ্যক কলম ব্যবহৃত হয়েছে। দেবীর বীণা, বাহন হাঁসও তৈরি হয়েছে পেন দিয়েই। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপক জালান জানিয়েছেন, এই মূর্তিটি শুধুমাত্র জ্ঞান ও সৃজনশীলতার প্রতীক নয় বরং একটি দায়িত্বশীল উদ্ভাবনের মূর্ত প্রতীক।
আরও পড়ুন: Excessive Yawning Causes: আপনার বেশি হাই ওঠা স্বাভাবিক নাও হতে পারে! সতর্ক থাকুন!
মূর্তিটি তৈরি করতে আট থেকে দশ ঘন্টা সময় লেগেছে এবং এটি প্রমাণ করে যে কেবল কলম ও কাগজ দিয়েও অসাধারণ কিছু সৃষ্টি করা সম্ভব। সংস্থার এই নতুন উদ্যোগটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং দর্শকদের মধ্যে এক নতুন চমক সৃষ্টি করেছে।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/p/1BH1X3DtfC/
কোথাও সরস্বতী পুজোয় রীতিমতো ‘ভাষা বিপ্লব’। সংস্কৃত মন্ত্রের পরিবর্তে বাংলায় লেখা মন্ত্রে পুজো হল বিদ্যাদেবীর। পূর্ব বর্ধমানের মশাগ্রামের সারদা মিশন স্কুলে। ঘটনা চাক্ষুষ করতে গেছিলেন ভাষাবিদ পবিত্র সরকার, কবি অংশুমান কর। কবি মারুত কাশ্যপ কবিতার ছন্দে এই মন্ত্রের অনুবাদ করেছেন। ফলে শহর থেকে দূরে গ্রাম বাংলার সরস্বতী পুজোর এই ঘটনা যে অভিনব সেবিষয়ে অবশ্যই কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।
দেবভাষা হলেও বর্তমান সময়ে সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার সাধারণ সমাজে প্রায় নেই বললেই চলে। যদিও হিন্দু সমাজে সমস্ত দেবদেবীর পুজোর মন্ত্রই এই ভাষাতেই লেখা। ফলে অঞ্জলি দেওয়ার সময় যা উচ্চারণ করা হয় তার মর্মার্থ অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না বলে লোকেরা জানান। যা বেরিয়ে এল এই মিশনের এক ছাত্রের কথায়। ওই ছাত্র জানায়, সে প্রথমবার বাংলায় অঞ্জলি দিল। তার কথায়, ‘এর আগে মানে না বুঝেই অঞ্জলি দিয়েছি। আজ মানে বুঝে অঞ্জলি দিলাম।’