নিউজ পোল ব্যুরো: কথায় আছে ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারি। আর ভালোবেসে প্রিয়জনকে গোলাপ উপহার দেওয়া হয়। গোলাপ আর ভালোবাসা যেন একে ওপরের পরিপূরক। গোলাপ ছাড়া ভালোবাসা যেন অসম্পূর্ণ! কিন্তু সেই গোলাপের যোগান নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এই মরসুমে নানা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে গোলাপ চাষে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। বিশেষ করে কুয়াশা এবং ছত্রাকের কারণে চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং তাঁদের ফুলের যোগানও কমছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গার গোলাপ চাষিরা জানাচ্ছেন, বন্যা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন তাঁদের জন্য আবহাওয়ার বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কুয়াশা ও ছত্রাকের কারণে গাছের পাতা শুকিয়ে গিয়ে ভালোভাবে ফুল ফোটেনি। এমন পরিস্থিতিতে চাষিরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হন তাই তাঁরা আগেভাগে গোলাপ সংগ্রহ করে হিমঘরে সংরক্ষণ করছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুর, জকপুর, চন্দ্রকোণা, ডেবরা , খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লক ইত্যাদি জায়গার বিস্তীর্ণ অংশে গোলাপ চাষ হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, গোসাইবেড়, পূর্ব সাওরাবেড়িয়া, কোলাঘাট, কন্যাদিহি, বক্সিতলা,পারনাঙ্ক ও হাতিশোল এলাকাতেও বিঘার পর বিঘা জমি জুড়ে গোলাপ চাষ করেন। সাদা, হলুদ এবং গোলাপি রঙের গোলাপের চাষ হলেও প্রেমের মরসুমে লাল গোলাপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।
সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক জানান, এই বছর ছত্রাকের উপদ্রব বেড়েছে। ফলে চাষিরা গোলাপ কুড়িয়ে হিমঘরে মজুত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও দুই মেদিনীপুর থেকে মিনি পোল গোলাপ সরবরাহ হয়, যা তিন চারদিন ভালো থাকে, তবে বেঙ্গালুরু থেকে আমদানি করা গোলাপের স্টিক প্রায় ১৪ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং জলে রাখলে ১০ দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে।