নিউজ পোল ব্যুরো : ‘ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট’ শোতে বিতর্কিত মন্তব্য করে চরম বিপাকে পড়েছেন ইউটিউবার এবং উদ্যোক্তা রণবীর আলাহাবাদিয়া (Ranveer Allahbadia)। তার মন্তব্য ঘিরে সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে, যা ক্রমেই বড়ো আকার নিচ্ছে। এবার মহারাষ্ট্রের সাইবার সেল (Maharashtra Cyber Cell) রণবীর আলাহাবাদিয়া, কমেডিয়ান সময় রায়না (Samay Raina) এবং আরও কয়েকজন শিল্পীর বিরুদ্ধে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরির অভিযোগে এফআইআর (FIR ) দায়ের করেছে। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, অসম পুলিশও রণবীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনা নিয়ে সোশাল মিডিয়া (Social media), রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের মন্তব্য শুধু অনৈতিকই নয়, এটি জনসাধারণের ভাবাবেগকেও আঘাত করেছে।
সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট’ (Indian’s Got Talent) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় রণবীর আলাহাবাদিয়া কিছু মন্তব্য করেন, যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। শো চলাকালীন তিনি কিছু অশালীন এবং অবমাননাকর কথা বলেন, যা দর্শকদের একাংশের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। এই মন্তব্য সোশাল (Social media) মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এরপর বিষয়টি আরও বড়ো আকার নেয়, যখন বিভিন্ন সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ রণবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন।
এই বিতর্কের জেরে মহারাষ্ট্রের সাইবার সেল (Maharashtra Cyber Cell) রণবীর আলাহাবাদিয়া, কমেডিয়ান সময় রায়না এবং আরও কয়েকজন শিল্পীর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR ) দায়ের করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মতে, ‘এ ধরনের কনটেন্ট সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভুল বার্তা দেয়। তাই আমরা কঠোর তদন্ত শুরু করেছি।’ শুধু মহারাষ্ট্র নয়, রণবীরের বিরুদ্ধে অসম পুলিশও মামলা দায়ের করেছে। অসমের একাধিক ব্যক্তি তাঁর মন্তব্যের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে বলা হয় যে তার বক্তব্য অসমের সংস্কৃতি এবং সামাজিক ভাবাবেগের পরিপন্থী।
বিতর্ক বাড়তে থাকায় রণবীর আলাহাবাদিয়া নিজেও মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তিনি কারও ভাবাবেগে আঘাত দিতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘আমি কখনই কারও ভাবাবেগে আঘাত দিতে চাইনি। যদি আমার কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে আমি দুঃখিত। তবে বিষয়টি যে এত বড়ো হয়ে যাবে, তা আমি বুঝতে পারিনি।’
কী হতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ?
- পুলিশি তদন্ত : FIR দায়ের হওয়ার পর মহারাষ্ট্র ও অসম পুলিশ এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করবে।
- জিজ্ঞাসাবাদ : অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে।
- কান্টেন্ট রিমুভ : বিতর্কিত ভিডিও বা বক্তব্য সোশাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
- আইনি ব্যবস্থা : যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
রণবীর আলাহাবাদিয়া এবং সময় রায়নার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শুধুমাত্র অনলাইনে বিতর্ক তৈরি করেনি, এটি প্রশাসনিক স্তরেও প্রভাব ফেলেছে। মহারাষ্ট্র সাইবার সেল (Maharashtra Cyber Cell) ও অসম পুলিশের এফআইআর (FIR ) দায়ের এই বিতর্ককে আরও গুরুতর করে তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কীভাবে এগোয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়।