বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: প্যারিসে এআই সামিটে (AI Summit) বিষয়টা পুরোটাই ছিল মোদিময়। আর প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে পা দিতেই পুরোটা হয়ে গেল গতিময়। যা এক লহমায় বদলে দিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক সমীকরণ। যেখানে ইদানিংকালে পাকিস্তান ভারতের মাথাব্যথার কারণ নয়। বরং পূর্বদিকের পড়শী বাংলাদেশই সবথেকে বেশি উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ওভাল অফিসে বৈঠক (Trump-Modi Meeting) শেষে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সাংবাদিকদের সরাসরি জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে যা করার নরেন্দ্র মোদিই করবেন।
আরও পড়ুন: Pulwama Attack: ভালবাসার দিনে হিংসার ভয়াবহ নিদর্শন, ফিরে দেখা
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বন্ধু ট্রাম্প ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘টাফ নেগোসিয়েটর’ আখ্যা দিয়েছেন। যা একদিকে যেমন মোদির মুকুটে যুক্ত করছে আরও এক নয়া পালক, ঠিক তেমনিই বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত। এদিন মোদি-ট্রাম্পের বৈঠক (Trump-Modi Meeting) ইউনূস সরকারকে চাপ নিঃসন্দেহে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল।
বাংলাদেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে এক বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য করত আমেরিকা। শপথ নেওয়ার পর হোয়াইট হাউজে পা রেখে বাংলাদেশকে এই সাহায্য এমনিতেই বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি সরাসরি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না। তবে শেষপর্যন্ত নিজে হস্তক্ষেপ না করে মোদিকে “শক্ত ঠাঁই” ঘোষণা করে বল তাঁর কোর্টে ঠেলে দেওয়ার ঘটনাটি এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
এদিকে শুধু বাংলাদেশই নয়। হোয়াইট হাউজ থেকে সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে পাকিস্তানকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মোদি-ট্রাম্প। যদিও অসন্তুষ্ট ইসলামাবাদ এই যৌথ বিবৃতিকে ‘একতরফা’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি করেছে। কিন্তু তাতে থোরাই কেয়ার মোদি-ট্রাম্প জুটির। একজন করলেন MAGA -এর অঙ্গীকার। অর্থাৎ Making America Great Again। আরেকজন দিলেন MIGA অর্থাৎ Making India Great Again -এর প্রতিশ্রুতি। মোদির দাবি, এই MAGA আর MIGA সংকল্প পূরণের মাধ্যমে ভারত-মার্কিন জুটি Mega হয়ে উঠবে।