নিউজ পোল ব্যুরো: লিভার (liver) শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (important) অঙ্গ, যা আমাদের শরীরের (health) ৫০০ টিরও বেশি শারীরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি খাওয়া খাবারকে (food) শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে এবং একই সঙ্গে রক্ত (blood) থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোও পরিষ্কার করে। তাই লিভারের (liver Cirrhosis) কোনও সমস্যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারেন এক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার (fatty liver) ডিজিজ একটি সাধারণ, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা (problem)। এটি তখন ঘটে যখন লিভারে চর্বি (fat) জমতে শুরু করে।
প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভার (fatty liver) ডিজিজে তেমন কোনো লক্ষণ (symptoms) দেখা যায় না। তবে রোগটি বৃদ্ধি পেলে শরীরের (health) বিভিন্ন অংশে লক্ষণ দেখা শুরু হয়। এই রোগের বিকাশ চারটি পর্যায়ে ঘটে, যার সর্বশেষ পর্যায়টি সিরোসিস নামে পরিচিত। এনএইচএস ইউকে (NHS UK)অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদী লিভারের (Liver)ক্ষতি সিরোসিসে পরিণত হতে পারে, যা লিভারে (liver)ক্ষত ও দাগ সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2025/02/17/anindya-chattopadhyay-marriage-break-news/
ফ্যাটি লিভার (fatty liver) থেকে সিরোসিসে (Liver Cirrhosis) পরিণত হওয়ার ফলে ত্বকে (skin) কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, যেমন:
*ত্বকে চুলকানি
*ত্বক ও চোখে হলুদ ভাব
*কোমরের উপরে ত্বকে ছোটো লাল রেখা
*ত্বকে কালশীরা
এছাড়াও, সিরোসিসের (Liver Cirrhosis) অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে
এছাড়াও, সিরোসিসের অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে
*ক্রমাগত ক্লান্তি
*খিদে কমে যাওয়া
*শরীরের ওজন কমে যাওয়া
*বমি বমি ভাব
*লিভারে ব্যথা
*ঘন ঘন নাক ও মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ
*চুল পড়া
*জ্বর ও কাঁপুনি
*পা, গোড়ালি ও পেট ফুলে যাওয়া
যদি আপনি ওপরের উল্লেখিত কোনো লক্ষণ (symptoms) অনুভব করেন, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (important)। কোন ধরনের ব্যক্তির মধ্যে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ থেকে সিরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
*অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
*টাইপ ২ ডায়াবেটিস
*ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স যেমন, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
*কম থাইরয়েড সমস্যা
*উচ্চ রক্তচাপ
*উচ্চ কলেস্টেরল
*মেটাবলিক সিন্ড্রোম
*৫০ বছর বা তার বেশি বয়স
*ধূমপান
এমন ব্যক্তিদের জন্য সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা খুবই জরুরি, কারণ ফ্যাটি লিভারের (fatty liver)সমস্যাটি (problem) মারাত্মক সিরোসিসে (Liver Cirrhosis) পরিণত হতে পারে, যা লিভারের কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে পারে – এটি ‘লিভার ফেইলিউর’ নামে পরিচিত,এবং এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ সাধারণত ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, তাই এটি প্রথম দিকে শনাক্ত হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা ও জীবনযাত্রায় সঠিক পরিবর্তন এনে এই সমস্যার অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত চেকআপ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।