নিউজ পোল ব্যুরো: সদগুরু জাগ্গি বাসুদেব প্রায়শই যোগ (Yoga) এবং আয়ুর্বেদিক (Ayurvedic) পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে মানুষের সুস্থ থাকার কৌশল শিখিয়ে থাকেন। তার পরামর্শে লক্ষ লক্ষ মানুষ সুস্থ থাকে এবং দীর্ঘ জীবন লাভ করে। সম্প্রতি, তিনি শরীরে শক্তি আনার একটি সহজ রেসিপি শেয়ার করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে কিছু খাবার শরীরে জড়তা (Leathagy) আনে, আর কিছু খাবার পেটে গ্যাস (Gas) তৈরি করে। পেটে গ্যাস তৈরি হলে তা শুধু পেটেই সীমাবদ্ধ থাকে না, এটি পুরো শরীরের শক্তির গতিতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই, গ্যাসের উৎপত্তি যাতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই তিনি তিনটি খাবার এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, বিশেষ করে যারা বড় মাপের কাজ করতে চান বা যারা ছাত্র (student) বা গবেষক, তাদের জন্য এই টিপস (tips) অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
তাহলে, সেই তিনটি খাবার (food) কী কী?
১. মূল শাকসবজি: সদগুরু বলেছেন, যদি আপনি সর্বদা শক্তি ও প্রাণশক্তিতে পূর্ণ থাকতে চান, তবে মূল শাকসবজি (vegetable) (যেমন মূলা, গাজর, শালগম) খাওয়া পরিহার করুন। যদিও এগুলি পুষ্টিকর, তবে এগুলো শরীরে (health) জড়তা সৃষ্টি করতে পারে। এইসব খাবার (food) খাওয়ার পর আপনার মনোযোগ কমে যেতে পারে এবং আপনি অলস বোধ করবেন। বিশেষ করে ছাত্র এবং গবেষকরা এসব খাবার এড়িয়ে চললে তাদের উদ্যমী থাকা সহজ হবে।
২. দুগ্ধজাত দ্রব্য: সদগুরু বলেছেন, দুধ (milk) বা দুগ্ধজাত দ্রব্য শরীরের শক্তি (power) কমিয়ে দিতে পারে। এইসব দ্রব্যে একটি বিশেষ উপাদান থাকে যা মলদ্বারে আটকে থাকতে পারে, ফলে শরীরে গ্যাস (gas) উৎপন্ন হয়। যখন গ্যাস তৈরি হয়, তা পুরো শরীরে অসুস্থতা এবং অলসতা সৃষ্টি করতে পারে। যেহেতু এটি শরীরের সজাগতা কমিয়ে দেয়, তাই দই, দুধ বা অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবহার এড়ানো ভালো।
৩. মাংস: সদগুরু একাধিকবার বলেছেন যে, মাংস (meat) বিশেষ করে কাঁচা মাংস শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর (harmful)। বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী, কাঁচা মাংস শরীরের (health) ভেতর দিয়ে ৭০ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় নিয়ে চলে যায়, অথচ রান্না করা মাংস বেরোতে ৫০ থেকে ৫৪ ঘণ্টা সময় নেয়। অন্যদিকে, নিরামিষ খাবার শরীর থেকে ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে যায় এবং ফল কেবল ১.৫ থেকে ৩ ঘণ্টায় শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই, মাংস থেকে দূরে থাকলে শরীর আরও প্রাঞ্জল ও শক্তিশালী থাকে।
তাহলে, কী করা উচিত?
সদগুরু পরামর্শ দিয়েছেন, বিশুদ্ধ খাবার (pure food) খাওয়া উচিত। যতটা সম্ভব নিরামিষ খাবার এবং নিজের হাতে তৈরি খাবার খেলে আপনি বেশি উপকার পাবেন। খাবারটি হালকা রান্না করুন এবং তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে ফেলুন,এক ঘণ্টার মধ্যে। ৪ ঘণ্টার বেশি আগের রান্না করা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবারের মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার ব্যবধান রাখলে আপনার শরীর ও মন আরও প্রাণবন্ত থাকবে। এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস আপনাকে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে উজ্জীবিত রাখতে সাহায্য করবে।