নিউজ পোল ব্যুরো: জ্ঞানেশ কুমার গুপ্ত (Ganesh Kumar Gupta),যিনি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) আগ্রা শহরের একজন সম্মানিত বাসিন্দা। ১৯৯৮ সালে সিভিল সার্ভিস (Civil service) পরীক্ষায় সফল হয়ে কেরল (Kerala) ক্যাডারের আইএএস (IAS) অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু থেকেই ছিল দৃঢ় সংকল্পে পরিপূর্ণ,যা তাকে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) অধীনে ইউপিএ সরকারের সময় তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি তিনি আইএসআইএসের কারণে ইরাক থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারকার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন, যা তাকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত (Praised) করেছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,ভারতের আইন মন্ত্রক জ্ঞানেশ কুমার গুপ্তকে (Gyanesh Kumar Gupta) দেশের ২৬ তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner) হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা করে। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর,তিনি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
জ্ঞানেশ কুমারের (Ganesh Kumar Gupta) পারিবারিক জীবনও তার কর্মজীবনের (Career)মতোই অনন্য। তার পরিবারের মধ্যে ২৮ জন চিকিৎসক (Doctor) রয়েছেন, যা তাদের বিশাল এক চিকিৎসক পরিবারের ঐতিহ্যকে (Tradition) তুলে ধরে। জ্ঞানেশ কুমারের (Gyanesh Kumar Gupta) বড় মেয়ে মেধা রূপম,বর্তমানে কাশগঞ্জের জেলাশাসক (District Magistrate) পদে কর্মরত। এছাড়াও, তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আইএএস (IAS) এবং আইআরএস (IRS) এর মত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তাদের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাগত ও পেশাগত সফলতার প্রতীক।
জ্ঞানেশ কুমারের (Gyanesh Kumar Gupta) নেতৃত্বে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং রাম মন্দিরে ট্রাস্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁর প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ হবে ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচন,তবে ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly elections) তার জন্য একটি বড় পরীক্ষা হতে চলেছে। ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha elections) দিনক্ষণও তাঁর অধীনে ঘোষিত হবে,যা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে পারে।