নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো: ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ (IND vs BAN) ইদানিং কালে যা হার মানাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ (IND vs PAK) কেও। কারণ আর কিছুই না দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক। আর বাংলাদেশের (Bangladesh) ভারত (India) বিরোধী মনোভাব তা সে কূটনৈতিক স্তরেই হোক বা খেলার মাঠেই হোক। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ঘটে গেছে আমূল পরিবর্তন। তা সকলেরই জানা। হাসিনা (Hasina Government) জামানা শেষ হয়েছে শুরু হয়েছে ইউনুস জামানা (Yunus Government)। আর এই বদলে যাওয়া আবহে আজকের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ অন্যান্য গুলোর তুলনায় ছিল অনেকটাই আলাদা। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে পরিবর্তন আসলেও ক্রিকেটের বাইশগজে তার বিন্দুমাত্রও প্রতিফলিত হল না। ভারতের সামনে বেঙ্গল টাইগার্সরা (Bengal Tigers) বরাবরের মতো এবারও কাগুজে বাঘ হয়েই রয়ে গেল এবং বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) অভিযান শুরু করল টিম ইন্ডিয়া (Team India)।
আরও পড়ুন: IND Vs BAN: বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে টানা ১১ টস হার, নয়া নজির টিম ইন্ডিয়ার
প্রতিবারের মতই এবারেও খেলতে (IND vs BAN) নামার আগে ভারতকে (India) হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। কিন্তু ঐ যে, “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবেকথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?”প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এখন সেরকমই অবস্থা। তারা কখনো এক রাতের মধ্যে কলকাতা দখল করেন তো ভারতকে হারানোর স্বপ্ন দেখেন। আসলে বাংলাদেশ যতটা গর্জায় ততটা বর্ষায় না। আর বৃহস্পতিবার শুরু থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ল তথাকথিত তারকা খচিত বাংলাদেশ ব্যাটিং! অভিজ্ঞ মহম্মদ শামি (Mohammad Shami), অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) থেকে শুরু করে নবাগত হর্ষিত রানাকে (Harshit Rana) সামলাতে রীতিমত নাকানি চোবানি খেলেন সৌম্য সরকার (Soumya Sarkar), শান্তরা। ফলস্বরূপ ৯ ওভারের মাথায় অর্ধেক বাংলাদেশ ফিরে যায় সাজঘরে (Dressingroom)।
নেহাৎ রোহিতরা (Rohit Sharma) কিছু ক্যাচ ফসকালেন তাই নাহলে ১০০ রানের গন্ডিও টপকাতে পারত না ওপার বাংলার টাইগাররা! আর ক্যাচ মিসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৫৪ রানের জুটি (Partnership) গড়ে স্কোরবোর্ডকে সাম্মানিক জায়গায় রাখলেন তৌহিদ হৃদয় (Touhid Hridoy) — ১০০ এবং জাকির আলি (Jaker Ali) — ৬৮। বাংলা ধোলাইয়ের শুরুটা করলেন মহম্মদ শামি। ২০২৩ বিশ্বকাপের (2023 Cricket World Cup) পর থেকে মাঠের বাইরে তিনি। ফিরেছিলেন ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে (ODI Series)। তারপর আবারও একটা আইসিসি টুর্নামেন্ট (ICC Tournament)। মাঝে এত দিনের ব্যবধান। একবারের জন্য মনে হল না তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন এতগুলো দিন। ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন যেন সেখান থেকেই আবার শুরু করলেন। একাই নিলেন পাঁচ উইকেট। একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম বোলার (Fastest Bowler) হিসেবে ২০০ টি উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়লেন। যোগ্য সঙ্গত দিলেন হর্ষিত রানা-অক্ষর প্যাটেলরাও। তিন উইকেট নিয়ে হার্ষিত বুঝিয়ে দিলেন অর্শদীপের (Arshdeep Singh) বদলে তাঁকে নিয়ে কোন পক্ষপাতিত্ব করেননি গুরু গম্ভীর (Coach Gambhir)। আর বাংলাদেশ? স্কোরবোর্ডে ২২৮ রান নিয়ে কি রোহিত-গিল-কোহলিদের রোখা যায়? হলনাও তাই (IND vs BAN)।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
ধুমধাড়াক্কা শুরু করলেন রোহিত এবং গিল। কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে রোহিত জানেন তাঁর কাজটা ঠিক কি। আর গত বিশ্বকাপ থেকে তিনি সেটাই করে আসছেন। রানের এসকেলটরে পা রেখে চলেছেন। চটজলদি রান তুলে বিপক্ষের মনোবল একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দাও এই তাঁর রণনীতি। একদিনের ক্রিকেটে (ODI) দ্বিতীয় দ্রুততম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে সম্পূর্ণ করলেন ১১০০০ রান। যদিও খুব বড় রান করেননি তিনি (৪১)। তবে রোহিতের এখন এটাই দায়িত্ব। দলকে স্টার্ট দেওয়া। আর সেই কাজে তিনি ফুল মার্কস পাবেন। এরপর হাল ধরেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। নিজের মন্থরতম শতরান (১২৯ বলে ১০১) করে অপরাজিত থাকলেন এবং ফুটতে থাকা প্রতিবেশী দেশকে ‘শান্ত’ রাখলেন ব্যাটের শাসনে। ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত অনায়াসে রান তুলে নিল বোর্ডে। বিষ্যুদবার পাঠ দেওয়া হল ছেলেদের (IND vs BAN), এবার রবিতে পালা কি বাবাদের (IND vs PAK) ?