নিউজ পোল ব্যুরো: কিভাবে করা হয়েছিল খুন(Murder)। কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দেহ, মধ্যমগ্রাম(Madhyamgram) পিসি শাশুড়ি খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে খুনের জন্য ও দেহ খন্ড করার অস্ত্র। সেই ঘটনাই কিভাবে ঘটানো হল তারই ফের একবার পুনর্নির্মাণ করা হয়।
পরপর ঘটনা সাজায় পুলিশ। ঘটনার আগের দিন যেভাবে তারা পুকুরে অস্ত্র ফেলেছিল সেখান থেকে থেকে শুরু করে ঘটনার দিন সকালবেলা ভ্যান ডেকে আনা এবং সেখান থেকে দোলতলায় নিয়ে যাওয়া ও দোলতলা থেকে আহিরিটোলা পর্যন্ত মা-মেয়েকে নিয়ে যায় পুলিশ। তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসছে একের পর এক চাকঞ্চল্যকর তথ্য। যা ভাবাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। সুমিতা ঘোষের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা সত্বেও খুনের আগে কেন ধৃত আরতি ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী সুমিতা ঘোষকে নিয়ে তার স্বামী ও এক আইনজীবীর কাছে নিয়ে যায় সেটাই এখন ভাবাচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে আইনজীবী ও সুমিতার স্বামীকে। যদিও দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সুমিতা ঘোষের স্বামী। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন হঠাতই তাদের দেখা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ BJP: নারী উন্নয়নে জোর, প্রথম মহিলা সভাপতি পেতে পারে বিজেপি
প্রসঙ্গত, মধ্যমগ্রাম(Madhyamgram) পিসি শাশুড়ি খুনের ঘটনায় পুলিশের হাতে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন আরতি ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যাবেলা সুমিতা ঘোষকে খুন করে। তারপরেই মা-মেয়ে পরিকল্পনা করতে থাকে দেহ লোপাটের। বাড়িতে থাকা ব্যগে সেই দেহ ঢোকানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে পরের দিন দুজনে মিলে বড় বাজারে গিয়ে একটি বড় ট্রলি ব্যাগ কেনেন। সেই সময়ে দেহ রাখা ছিল বাড়ির বারান্দায়। ট্রলি এনে ফের চেষ্টা করেন দেহ ব্যাগে ঢোকানো। কিন্তু সেই ব্যাগেও দেহ কোনও ভাবে না ধরায় দেহ টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা করেন। বটি ও ছুরি ব্যবহার করে দুই পা কেটে, মুন্ডু কেটে চার টুকরো করেন। তারপর ওই বটি ও ছুরি সেই রাতেই পুকুরে ফেলে দেন এবং সকাল হলে দেহ নিয়ে বেরিয়ে যান।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/