Calcutta University: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া নির্দেশে বিতর্ক

breakingnews কলকাতা শিক্ষা

নিউজ পোল ব্যুরো: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) সম্প্রতি একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যেখানে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক (Contractual Teachers) এবং অতিথি শিক্ষকরা (Guest Lecturers) স্নাতকোত্তর (Postgraduate) স্তরের পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষকমহলে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের (Syndicate) চারজন অধ্যক্ষ (Principals) প্রতিবাদস্বরূপ পদত্যাগ করেছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় (Notification) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা পরিদর্শন (Examination Invigilation), মূল্যায়ন (Evaluation) এবং অন্যান্য পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজে অতিথি ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করা যাবে না।

আরও পড়ুন:- WB SET 2025: সেট পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

বর্তমানে অধিকাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পর্যাপ্ত স্থায়ী শিক্ষক (Permanent Faculty) নেই, এবং কলেজগুলোর শিক্ষার ভার বহুলাংশে অতিথি ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষামহলের একাংশ মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক (Discriminatory) এবং শিক্ষার মানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে এই শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হলে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষা পরিচালনায় জটিলতা তৈরি হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে মোট ছ’জন অধ্যক্ষ সদস্য ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চারজনই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন। তিলক চট্টোপাধ্যায় (বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ), সুনন্দা গোয়েঙ্কা (যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ), অনুপমা চৌধুরী (উইমেনস কলেজ ক্যালকাটার অধ্যক্ষ), সত্যব্রত সাউ (ধ্রুবচাঁদ হালদার কলেজের অধ্যক্ষ)। তিনি অনলাইনে পদত্যাগপত্র পাঠান। এই অধ্যক্ষদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়(Calcutta University) কোনও আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিন্ডিকেটের সদস্যরাও বিষয়টি সম্পর্কে আগে থেকে অবগত ছিলেন না।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

সারা বাংলা অধ্যক্ষ পরিষদের (West Bengal Principals’ Council) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সম্পাদক মানস কবি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। এই সিদ্ধান্তের ফলে কলেজ অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বৈষম্য তৈরি হবে।” সিন্ডিকেটের একাংশ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন। তাঁরা মনে করছেন, দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে শিক্ষামহলে আরও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এখন দেখার বিষয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়(Calcutta University) কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থানে অটল থাকে নাকি শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।