Jhargram News: দলমার দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত চাষিরা

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: ঝাড়গ্রামের বালিভাষা এলাকায় ফের দেখা গেল হাতির তাণ্ডব (Elephant Rampage)। শুক্রবার গভীর রাতে ১৮-২০ টি দাঁতাল হাতির (Wild Tusker Elephants) একটি দল খাবারের সন্ধানে চাষের জমিতে প্রবেশ করে(Jhargram News) ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। রাতের অন্ধকারে হাতির দল (Elephant Herd) একের পর এক ফসলি জমি নষ্ট করতে থাকে। আতঙ্কে চাষিরা রাত জেগে প্রহরা দিলেও বিশালাকার দাঁতালদের থামানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন:- International Women’s Day: নারীদের জন্য নতুন উদ্যোগ প্রদীপ্তার

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই দলমা পাহাড় থেকে আসা হাতির দল শুধু ফসল নষ্ট করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, মাঝে মাঝেই বসতবাড়ি ভেঙে দিচ্ছে (House Destruction by Elephants)। অনেক ক্ষেত্রেই এই হানা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে হাতির আক্রমণে একাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। কৃষকদের দাবি, তারা চরম সংকটের মুখে পড়েছেন। বছরের পর বছর ধরে চাষের জমি নষ্ট হচ্ছে, অথচ বনদপ্তর (Forest Department) কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বন দফতরের তরফে মাঝে মাঝে হাতি(Jhargram News) তাড়ানোর জন্য পটকা ফাটানো (Bursting Crackers), লাঠিসোটা নিয়ে দল পাঠানো হয়, তবে তা যথেষ্ট নয় বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বরং দিনের পর দিন এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। হাতির দল মূলত দলমা পাহাড় (Dalma Hills) থেকে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে। তবে এবার সংখ্যাটা বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।এলাকার এক কৃষক বলেন, “প্রতি বছর একই সমস্যা। আমরা ফসল ফলাই, আর হাতির দল এসে নষ্ট করে দেয় (Crop Destruction by Elephants)। জমিতে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। বনদপ্তর কি কেবল হাত গুটিয়ে বসে থাকবে?”

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:-https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

ঝাড়গ্রামের মানুষের একটাই দাবি, বনদপ্তর যেন দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয় (Immediate Action by Forest Officials)। হাতির চলাচলের রাস্তাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন হলে হাতিদের জন্য বিকল্প খাদ্যের বন্দোবস্ত (Alternative Food for Elephants) করতে হবে, যাতে তারা লোকালয়ে না নামে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতির বাসস্থান (Elephant Habitat) ধ্বংস হওয়ার কারণেই তারা লোকালয়ে এসে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। হাতিদের নির্দিষ্ট অভয়ারণ্য (Elephant Sanctuary) ও পর্যাপ্ত খাদ্যের সংস্থান করা গেলে হয়তো এই তাণ্ডব কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু আপাতত চাষিরা দিশেহারা। রাত হলেই তাদের চোখে ঘুম নেই, কারণ ফের কখন হাতির দল হানা দেবে, তা নিয়ে চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তারা। বনদপ্তর কি এবার কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেবে, নাকি চাষিদের দুর্দশা আরও বাড়বে? উত্তর দেবে সময়।