নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি চিন (China) সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এই বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিতে ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে মোট ২১০ কোটি ডলার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করল বেইজিং। যা বাংলাদেশের জন্য তো বটেই, এমনকি অবস্থানগত কারণে চিনের কাছেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: Earthquake : একই দিনে ৬ বার কম্পনে হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা! সাহায্যের আর্তি মায়ানমারের
ইউনূসের চিন সফরে যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিল বেইজিং। অতঃপর এদিন দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগিতার একটি চুক্তি, সংবাদ মাধ্যমে সহযোগিতার চুক্তি, সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতার চুক্তি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার চুক্তি ইত্যাদি। দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস চিনা শিল্প এবং কারখানা স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি ইউনূসের দফতরের আশা, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঞ্চলে কারখানা স্থাপন করতে চিন ১০০ কোটি টাকার মত বিনিয়োগ করতে পারে বাংলাদেশে (Bangladesh)। এদিকে বেইজিংয়ের তরফে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করা হতেই ইউনূস ঋণে সুদের হার ৩-৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১-২ করা এবং সেইসঙ্গে কমিটমেন্ট ফি মকুব করার আর্জি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে (Bangladesh ) শিল্পের জন্য পৃথক এলাকা স্থাপনে ৩৫ কোটি ডলার এবং মংলা বন্দরের উন্নয়ন কল্পে ৪০ কোটি ডলার সাহায্য করবে। অন্যদিকে কারিগরি, স্বাস্থ্য ও কয়েকটি প্রকল্পে ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে ১৫ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা করেছে চিন। এদিকে চিনের ঋণের ফাঁদে পড়ে বাংলাদেশ যে দেউলিয়া হতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন একাধিক অর্থনীতিবিদই। এর আগে হাসিনা সরকারকে দেওয়া অনুদানও ঋণ হিসেবে দেখিয়েছে চিন। এখন সেইসব ঋণের সুদের হার কমাতেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইউনূস।