Rabindranath Tagore: ক্যানিং স্টেশনের এই চেয়ারটিতে কে বসেছিলেন জানেন?

কলকাতা লাইফস্টাইল

নিউজ পোল ব্যুরো: ভারতের ইতিহাসে কিছু স্মৃতি (Memory) এমন থাকে যা সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যায় না। এক্ষেত্রে, একটি বিশেষ সেগুন কাঠের চেয়ার (Historical Chair) যা ৯৩ বছরেরও বেশি পুরোনো! সেই স্মৃতি (Memory) ধরে রেখেছে। এই চেয়ারের (Historical Chair) সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অনন্য ইতিহাস (History)। যা জড়িয়ে আছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) ক্যানিং (Canning) ভ্রমণ এবং স্কটিশ শিল্পপতি স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিল্টনের (Sir Daniel Hamilton) ভারত প্রেমের কাহিনির সাথে।

আরও পড়ুন:

১৮৮০ সালে ভারত পা রাখেন স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিল্টন (Sir Daniel Hamilton)। বাংলার দরিদ্র জনগণের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেন তিনি। ১৯০৩ সালে সুন্দরবনের গোসাবায় (Gosaba) গড়ে তোলেন এক তলার কাঠের ভিত্তিতে নির্মিত ঐতিহাসিক ‘বেকন বাংলো’। এই বাংলোটি (Bunglow) ছিল এক যুগান্তকারী সামাজিক উদ্যোগের প্রতীক, যেখানে স্যার হ্যামিল্টন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সমবায় ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়।

১৯৩২ সালের ২৯ ডিসেম্বর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) স্যার হ্যামিল্টনের আমন্ত্রণে গোসাবায় পৌঁছান। তাঁকে ভারতীয় রেলের (Indian Railway) বিশেষ কোচে ক্যানিং স্টেশন (Canning Station) পর্যন্ত পৌঁছানো হয়। সেখানে হ্যামিল্টনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি বেকন বাংলোতে দু’দিন অবস্থান করেন। যেখানে শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতনের চিন্তা ভাবনার আদান-প্রদান হয়।

এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই সফর, যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) উপস্থিতির স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আজও সেই একমাত্র চেয়ারটি (Historical Chair) সংরক্ষিত আছে ক্যানিং স্টেশনের রানিং রুমে। কবি যখন ফেরার পথে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, ঠিক সেই সময়েই তিনি ওই চেয়ারটিতে বসেছিলেন। আজও পূর্ব রেলওয়ে এই চেয়ারের যত্ন নিচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে ক্যানিং স্টেশনে নতুন ভবন নির্মিত হলে এই বিশেষ স্মৃতিস্বরূপ চেয়ারটি জনসাধারণের দেখার জন্য উপস্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এছাড়াও, এখনও টিকে আছে সেই ‘বেকন বাংলো’ও, যা এখন “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) বাংলো” বা “হ্যামিল্টন বাংলো” নামে পরিচিত। শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং স্টেশনে পৌঁছানোর পর বাস বা অটোতে চড়ে গদখালি গিয়ে, নৌকায় চড়ে এই বাংলোতে পৌঁছানো সম্ভব। সম্প্রতি রাজ্য সরকার বাংলোটি (Bunglow) সংস্কার করেছে, যাতে আরও মানুষ এর ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারে।

এই চেয়ারের সাথে জড়িয়ে থাকা গল্প এবং সেই যুগের ঐতিহ্য আজও আমাদের ইতিহাসের অমূল্য রত্ন হিসেবে রয়ে গেছে যা শুধু আমাদের অতীত নয়, ভবিষ্যতকেও আলোকিত করে।