CESC: তৃণমূলের ফান্ডে ১৮ কোটি, রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ

কলকাতা রাজনীতি

নিউজ পোল ব্যুরো: চোদ্দো বছর পর ফের একবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সিইএসই (CESC) কর্পোরেটিভ ব্যাংক এলেকশন। তবে এই বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচনের আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিয়মের অভিযোগ। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের প্রাচীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা CESC-এর আওতায় থাকা সমবায় ব্যাঙ্কে ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা, কিন্তু সেই ভোটের আগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হওয়ায় ফের বিতর্ক দানা বাঁধছে।

এক কর্মীর দায়ের করা মামলায় গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে। তার দাবি, নির্বাচন সামনে থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনও ড্রাফ্ট ভোটার লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত যে, কারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই কর্মী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি আদালতে অভিযোগ জানান, একাধিকবার আবেদন সত্ত্বেও ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে CESC-এর সমবায় ব্যাঙ্কের (election process) কার্যত বন্ধ ছিল। ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার পুরনো বোর্ড ভেঙে দিয়ে নমিনেশনের মাধ্যমে ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করে। সেই অস্থায়ী বোর্ডই গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছে। অবশেষে ১৪ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে ঠিকই, কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে।

আরও পড়ুন :Mamata Banerjee : “আমি বেঁচে থাকতে কারও চাকরি খেতে দেব না!”

সবচেয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, ২০২১ সালে CESC-এর তরফে সমবায়ের উন্নতির উদ্দেশ্যে ১৮.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু সেই বিপুল অর্থের এক বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের (party fund) ফান্ডে চলে যায় এবং এই আর্থিক অনিয়মের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজেই। এই অভিযোগের জবাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় একে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, “যে ইউনিয়ন একক ভাবে ৯৮ শতাংশ ভোট পায়, তাদের মারধরের বা প্রভাব খাটানোর প্রয়োজন পড়ে না। এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”এই সমস্ত অভিযোগ ও পাল্টা বক্তব্যের মাঝে ভোটের আগেই বিতর্কের আঁচে জ্বলছে সিইএসই (CESC)-এর সমবায় ব্যাঙ্ক নির্বাচন। আদালতের রায় এবং নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের দিকেই এখন তাকিয়ে কর্মীরা থেকে ভোটাররা সকলেই। ১৪ বছরের প্রতীক্ষার পর এই নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT