Jhargram Shitala Puja: আশুই গ্রামে ৭৫তম শীতলা পুজোয় নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা!

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: শীতলা পুজো- শতাব্দী প্রাচীন এই আরাধনা আজও সমানভাবে পালন করে চলেছে বাংলার বহু গ্রাম। তারই এক উজ্জ্বল নিদর্শন দেখা গেল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের আশুই গ্রামে। (Jhargram Shitala Puja)) যেখানে এবছর ৭৫তম বর্ষে পদার্পণ করল শীতলা মায়ের পুজো। কথিত আছে, এক সময় মহামারী (epidemics in rural Bengal) বা মারাত্মক সংক্রমণের সময় মা শীতলার আরাধনায় মেতে উঠতেন গ্রামের মানুষ। মা শীতলাকে (Goddess Sheetala) মনে করা হয় রোগ প্রতিরোধের দেবী। তাঁর কৃপায় দূর হয় শরীরিক যন্ত্রণা, বাড়ে মানসিক শান্তি। আজকের ডিজিটাল যুগেও (digital age and faith) সেই প্রাচীন বিশ্বাসের স্পর্শে আশুই গ্রামের মানুষ ভোলেননি তাদের রীতি-নীতি।

আরও পড়ুন:- Jhargram: প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষার আলো দিতে একল অভিযান

এই বছর পুজোর (Jhargram Shitala Puja) ৭৫তম বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে গ্রামে তৈরি হয় এক অনন্য উৎসবমুখর পরিবেশ। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে (colorful rural procession) একটি নতুন পাথরের মূর্তি (stone idol of Sheetala) প্রতিষ্ঠা করা হয় শীতলা মন্দিরে। পূর্বের মূর্তিটি কিছুটা ভেঙে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন নতুন করে প্রতিস্থাপন করার, যাতে আগামীতেও পূজা সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই দিন আশুই গ্রাম যেন সাক্ষাৎ উৎসবের রূপ নেয়। ১১৮ জন মহিলার (women devotees) এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সুবর্ণরেখা নদীর (Subarnarekha River) দিকে এগিয়ে যায় জল আনতে। সেই জল দিয়ে পুজোর পূর্বে মূর্তি ও মন্দির শুদ্ধিকরণ করা হয়। ২০ জন মহিলা ঢাকির (women dhakis) ঢাকের তালে তালে, ফুল, রঙ্গোলি আর ধর্মীয় গানের সঙ্গে গ্রামে শুরু হয় মূর্তি প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। গ্রামেরই বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাধারণ মানুষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রী পাট গোপীবল্লভপুরের মহন্ত মহারাজ কৃষ্ণ কেশবানন্দ দেব গোষ্মামী (Krishna Keshabananda Dev Goswami) এবং গোপীবল্লভপুর থানার আইসি কার্তিক চন্দ্র রায় (Kartik Chandra Roy, OC of Gopiballavpur). তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি আরও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় নাম যজ্ঞ ও মায়ের বিশেষ পূজা (Jhargram Shitala Puja)। উপস্থিত ছিলেন সনাতন দাস, অঞ্জলি দাস, সোমা দাস, সমীর দাস, সুকুমার দাস প্রমুখ, যাঁরা জানিয়েছেন, মন্দিরে রোজকার মায়ের নিত্য পূজা প্রচলিত রয়েছে, এবং আগামীতেও এই রীতি বজায় থাকবে। আজকের দিনে যেখানে প্রযুক্তি (technology) আর আধুনিকতা প্রতিদিন আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলছে, সেখানেও ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংস্কার যে কীভাবে টিকে থাকে, তার এক অনন্য প্রমাণ হয়ে রইল এই আশুই গ্রামের শীতলা পুজো। শুধু এক ধর্মীয় আচার নয়, এটি হয়ে উঠেছে গ্রামের মানুষের ঐক্য, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক।