Jhargram Welfare Program: ঝাড়গ্রামে পুলিশের সামাজিক উদ্যোগে খুশি গ্রামবাসী

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: নববর্ষ মানেই নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা আর নতুন সূচনা। সেই নতুন সূচনার দিনটিকে আরও বিশেষ করে তুলতে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ (Jhargram District Police) এক ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ নিল বাংলা নববর্ষের (Bengali New Year) প্রাক্কালে। জেলার বেলিয়াবেড়া থানার উদ্যোগে ও ‘সহায়’ (Sahaya Project) প্রকল্পের আওতায় গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের খামার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হল এক অনন্য সামাজিক অনুষ্ঠান (Jhargram welfare program), যেখানে দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল নতুন বস্ত্র (cloth distribution), মশারি (mosquito net distribution) এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রদান করা হল শিক্ষা সামগ্রী ও সার্টিফিকেট (education support, certificate distribution)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার (Superintendent of Police) অরিজিৎ সিনহা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সৈয়দ মহম্মদ মামদুল্লাহ হাসান, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর অধিকারী, গোপীবল্লভপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবাশীষ ঘোষ, বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালোধী সহ অন্যান্য পুলিশকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:- Murshidabad : শুভেন্দুর আবেদনে সাড়া, অশান্ত মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ হাইকোর্টের

এই আয়োজনে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক দরিদ্র গ্রামবাসীর হাতে নতুন শাড়ি ও মশারি তুলে দেওয়া হয়। শুধু বস্ত্র বিতরণই নয়, দিশা কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট ও শিক্ষা সামগ্রী, যা তাদের ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সহায় প্রকল্পের (Jhargram Police Sahaya Project) অন্যতম লক্ষ্য হল সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা চাই, প্রতিটি থানার তরফ থেকে সমাজ সেবামূলক কর্মসূচি (social welfare program) গৃহীত হোক এবং বাস্তবায়িত হোক (Jhargram welfare program)। এই বস্ত্র ও মশারি বিতরণ তারই একটি অংশ। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের হাতে শিক্ষা সামগ্রী তুলে দিয়ে আমরা তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে চাই।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতেও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের তরফ থেকে জেলার প্রতিটি প্রান্তে এ ধরনের মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পুলিশের এই সদর্থক উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষজন। সাধারণ মানুষদের মুখে ছিল সন্তোষের হাসি, আর তাদের কণ্ঠে ছিল পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা (Jhargram welfare program)। এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র নববর্ষ উদযাপনকেই অর্থবহ করে তোলে না, বরং পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। পুলিশের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করে দেয়, তারা শুধু আইন রক্ষাকারী বাহিনী নয়, সমাজের প্রকৃত বন্ধু হিসেবেও কাজ করে চলেছে। সত্যিই, নববর্ষে এর থেকে বড় উপহার আর কী হতে পারে?