নিউজ পোল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ (Samserganj) এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ওয়াকফ আইনের (Waqf Issue) বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। শনিবার সন্ধ্যা থেকে একাধিক স্থানে অশান্তি ছড়ায়, হিজলতলায় (Hizoltala) কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফের (BSF) গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অশান্ত অঞ্চলগুলিতে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, যারা রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) সঙ্গে যৌথভাবে টহল দিচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনার মধ্যেই রাতেই পৌঁছে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (DGP Rajeev Kumar)। তার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ ইনস্পেক্টর জেনারেল করণি সিং সেখাওয়াত (IG Karni Singh Shekhawat) মুর্শিদাবাদে পৌঁছান। শনিবার রাত থেকেই এলাকায় শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়মিত টহল।
আরও পড়ুন:- Jhargram Welfare Program: ঝাড়গ্রামে পুলিশের সামাজিক উদ্যোগে খুশি গ্রামবাসী
ঘটনার সূত্রপাত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদকে ঘিরে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এই নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, প্রশাসনকে ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Ban) বন্ধ করতে হয় যাতে গুজব ছড়িয়ে না পড়ে। এই প্রেক্ষিতেই (Waqf Issue) বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানান। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। একই দাবি জানান বিজেপি নেতা ও আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও (Tarunjoyti Tiwari)।হাইকোর্ট শনিবারই শুভেন্দুর আবেদনের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে চারটেয় বিচারপতি সৌমেন সেন (Justice Soumen Sen) ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী (Justice Raja Basu Choudhury)-র নেতৃত্বাধীন স্পেশাল বেঞ্চে শুনানি করে। শুনানির পর আদালত নির্দেশ দেয়, মুর্শিদাবাদের সুতি ও সামশেরগঞ্জ অঞ্চলে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
ডিজি রাজীব কুমার সাফ জানান, “সরকারের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে – কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। যারা আইনভঙ্গ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব রটালে বা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে কঠিন পরিণতির মুখে পড়তে হবে (Waqf Issue)। আমাদের প্রথম কাজ হল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।” বর্তমানে এলাকায় চরম সতর্কতা জারি রয়েছে। বিভিন্ন প্রান্তে টহল দিচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের তরফে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে, যাতে কোনওরকম উসকানিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।