Mamata Banerjee : “বর্ডার তো BSF সামলায়! লোক ঢোকালেন কেন?” কৈফিয়ত চান মমতা

breakingnews কলকাতা রাজনীতি রাজ্য শহর

নিউজ পোল ব্যুরো: ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় মুর্শিদাবাদসহ বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এরই মধ্যে বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) ইমাম মুয়াজ্জেনদের সমাবেশে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একবার নিশানায় রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি তাঁর অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ Mamata-Waqf Meeting: কংগ্রেসের জেতা আসনে অশান্তি হয়েছে,ইমামদের বৈঠকে মন্তব্য মমতার

ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই দাঙ্গার নেপথ্যে বাংলাদেশের হাত রয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফকেই (BSF) পাল্টা কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বর্ডার তো বিএসএফ সামলায়। সেখানে আমার বা রাজ্য রাজ্য সরকারের নেই। আপনি কেন ঢুকতে দিলেন? কৈফিয়ত আপনাকে দিতে হবে। আপনারা ভেদাভেদ তৈরি করতে চান।”

Mamata Banerjee

এদিনের সমাবেশ থেকে মমতার (Mamata Banerjee) দাবি, এই দাঙ্গা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে সরাসরি আঙুল তুলে তিনি বলেন, “ইউনূসের সঙ্গে গোপনে মিটিং করুন আপনি। দেশের ভাল হলে খুশি হব। কিন্তু আপনার প্ল্যানিংটা কী? কোনও এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা!” এছাড়া সরাসরি বিজেপির নাম করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর ধর্ম পালনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr

ভারতীয় সংবিধান দেশের সকল নাগরিককে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দেয়। সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “সংবিধানের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে যে কোনও ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রে সম্পত্তি অর্জন এবং রক্ষার অধিকারও দেওয়া হয়েছে।” এরপরই দস্তুরমত আক্রমণের সুরে বলেন, “আমার অধিকার কাড়ছেন আপনি। রাম-রহিম সকলের অধিকার কাড়ছেন।‌” এর পাশাপাশি মমতা এও বলেন, “আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যা বুঝি, বাবা সাহেব আম্বেদকর তফশিলি জাতির হয়েও সংবিধান ড্রাফটিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সংবিধান ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।”