নিউজ পোল ব্যুরো: নতুন অধ্যায় শুরু করছেন বঙ্গ রাজনীতির এক বর্ণময় মুখ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh wedding)। বহুদিন ধরে একক জীবন কাটিয়ে এবার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। শুক্রবার (Friday) সন্ধ্যায় নিউটাউনে (Newtown) নিজের বাসভবনে রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি (Dilip Ghosh wedding)। রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh wedding) নিজেই।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: মায়ের কথায় বিয়ের পিঁড়িতে দিলীপ!
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “এই জীবনে অনেক কিছু করেছি, কিন্তু একটা দিক অপূর্ণই ছিল। মা বহুবার বলেছিলেন বিয়ের কথা। তাঁর ইচ্ছার মূল্য দিতেই এই সিদ্ধান্ত।” রিঙ্কু মজুমদারও (Rinku Majumdar) বিজেপির (BJP) নেত্রী হওয়ায় দু’জনের জীবনযাত্রায় মতপার্থক্যের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দিলীপবাবু নিজেও জানিয়েছেন, সংসার জীবন শুরু করলেও দলের কাজে কোনওরকম প্রভাব পড়বে না। বরং জীবনে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হল, যা তাঁকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষ করে তুলবে বলে আশা।
বিয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত দিলীপ ঘোষের পরিবারও। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন তাঁর মা পুষ্পলতা দেবী ও আত্মীয়স্বজনরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে এই বিশেষ অনুষ্ঠান। ৬১ বছর বয়সে নতুন করে জীবনের মোড় ঘোরানো এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই সাহসী ও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
তবে বিতর্কও কম নয়। দীর্ঘদিন আরএসএসের (RSS) প্রচারক থাকায় অবিবাহিত থাকাই ছিল রীতি। সেই প্রেক্ষাপটে তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংঘপথ ত্যাগ করেই কি তবে সংসারজীবনে প্রবেশ? সূত্রের খবর, বিয়ের পর আর প্রচারকের ভূমিকায় থাকবেন না দিলীপ ঘোষ।
রাজনৈতিক দায়িত্বের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের এই নতুন যাত্রা কেমন হয়, তা সময়ই বলবে। তবে একথা অনস্বীকার্য! এই বিয়ের খবর নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে তুলে এনেছে দিলীপ ঘোষকে।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে একে একে উপস্থিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, লকেট চ্যাটার্জী (Locket Chatterjee), জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো (Jyotirmoy Singh Mahato) সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) বলেন, “দলের এক প্রবীণ নেতার জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় পাশে থাকাই আমাদের কর্তব্য। দিলীপদা দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির ময়দানে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে গিয়েছেন। শুক্রবার ব্যক্তিগত জীবনে নতুন পথচলা শুরু করছেন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতেই এসেছি।”
দলীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের মাকে প্রণাম করে, তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন এবং জানান, মায়ের ইচ্ছার মর্যাদা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিলীপ।
আইনিভাবে সন্ধ্যাবেলায় বিয়ের পর্ব সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও, দলীয় সহযোদ্ধাদের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে দিল, দিলীপ ঘোষ আজও দলের অভ্যন্তরে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানিত ব্যক্তি। রাজনৈতিক জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে তিনি নতুন পথচলা শুরু করছেন।এ কথা নেতানেত্রীরা একবাক্যে স্বীকার করেছেন।