নিউজ পোল ব্যুরো: তিনটি পরিবারই রওনা দিয়েছিলেন অপূর্ব প্রকৃতির খোঁজে কাশ্মীরের (Kashmir Terror Attack) পহেলগাঁওয়ে। অথচ সেই আনন্দঘন মুহূর্তই রূপ নিল এক হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডিতে। জঙ্গি হামলার নির্মমতায় প্রাণ হারালেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) তিনজন বাসিন্দা—দু’জন কলকাতার (Kolkata), একজন পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার।
আরও পড়ুন: Pahalgam attack : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে কড়া বার্তা মোদীর, কাশ্মীরে যাওয়ার নির্দেশ শাহকে
বেহালার সখেরবাজারের সমীর গুহ তাঁর স্ত্রী শবরী এবং পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘুরে ফিরে আসার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! ফিরলেন না তিনি। ফিরলেন তাঁর স্ত্রীর চোখের জলে ভেসে আসা স্মৃতি হয়ে। শবরীর বর্ণনায়, “হঠাৎ মুখ ঢাকা কয়েকজন মানুষ ঘিরে ধরে আমাদের। সকলেই বন্দুকধারী (Kashmir Terror Attack)। মাটিতে শুয়ে পড়তে বলে। আমরা ভয়ে শুয়ে পড়ি। তারপর বেছে বেছে গুলি করে আমার স্বামী এবং অপর একজনকে।” সমীর ছিলেন এক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী।
অন্যদিকে, বৈষ্ণবঘাটা পাটুলির বিতান অধিকারী কর্মসূত্রে থাকতেন ফ্লোরিডায়, এক বহুজাতিক সংস্থার কর্মী হিসেবে। স্ত্রী সোহিনী ও তিন বছরের ছেলে হৃদানকে নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়, সেখান থেকে বেড়াতে গিয়েছিলেন কাশ্মীর। ঘোরার আনন্দের মাঝে আচমকা নেমে এল দুঃস্বপ্ন। সোহিনীর চোখের সামনেই গুলি করে হত্যা (Kashmir Terror Attack) করা হয় বিতানকে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
তৃতীয়, ঝালদার মণীশরঞ্জন মিশ্র কর্মসূত্রে ছিলেন হায়দরাবাদে এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইবি’-তে কর্মরত ছিলেন। পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলেন অযোধ্যা, হরিদ্বার ঘুরে পহেলগাঁও। পরবর্তী গন্তব্য ছিল বৈষ্ণোদেবী, যেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার বাবা-মা ও ভাইয়ের পরিবারের। কিন্তু তার মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর, বাকিরা আর সেই পথে রওনা হলেন না। ফিরে এলেন ঝালদায়।