নিউজ পোল ব্যুরো: যেখানে প্রকৃতি যেন হাতছানি দেয় স্বর্গীয় সৌন্দর্যের, যেখানে মানুষ যায় নতুন করে জীবনকে ছুঁতে। সেই স্বর্গেই নেমে এল নরকের বিভীষিকা। এক নিষ্ঠুর ঘটনার সাক্ষী হয়ে উঠল একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার। একদিকে পাহাড়ের শান্তি, আর অন্যদিকে বন্দুকের শব্দ। ভালোবাসা ও হাসিকে সঙ্গ করে পারিবারিক ছুটি কাটাতে গিয়েছিল তারা। মুহূর্তের মধ্যেই যা রূপ নেয় ভয়ংকর দুঃস্বপ্নে। কাশ্মীরের (Kashmir) সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাওয়া নাথানিয়েল পরিবারের ছুটির পরিকল্পনা এক হৃদয়বিদারক ঘটনার মাধ্যমে থমকে যায়। ইন্দোরের এক সাধারণ পরিবারকে ভেঙে চুরমার করে দেয় সন্ত্রাসবাদীদের (Pahalgam Attack) বর্বরতা। যেখানে সাহসিকতার মূর্ত রূপ হয়ে উঠেন সুশীল নাথানিয়েল।
আরও পড়ুন: Pahalgam Attack: জঙ্গিদের গোপন পথপ্রদর্শক! কী বলছে তদন্ত?
“ওরা আমার চোখের সামনেই তাকে হত্যা করেছে… আমি কিছুই করতে পারিনি,” কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন সুশীলের স্ত্রী জেনিফার নাথানিয়েল। তার চোখে তখন শুধুই অসহায়তা ও অপরাধবোধ,”যেভাবে তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম, সেভাবে ফিরিয়ে আনতে পারিনি।”
জেনিফার জানান, তিনজন তরুণ আততায়ী (Pahalgam Attack) তাদের ঘিরে ধরে সুশীলকে ইসলামের কলমা পাঠ করতে বলে। কিন্তু সুশীল জানিয়ে দেন, তিনি খ্রিস্টান এবং কলমা পাঠ তার জানা নেই। এতেই রাগে ফেটে পড়ে একজন আততায়ীর। তাকে ধাক্কা মেরে সোজা বুকে গুলি করে। সেই মুহূর্তেই থেমে যায় এক ভালোবাসার গল্প, থেমে যায় এক পিতার নিঃস্বার্থ দায়িত্ব।
ইন্দোরে (Indore) পৌঁছানোর পর মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং আশ্বাস দেন যে রাজ্য সরকার তাদের পাশে রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বীণা নগরে ভিড় জমান শেষবারের মতো শ্রদ্ধা (Pahalgam Attack) জানাতে। প্রতিবেশীরা ত্রিপল টানিয়ে পানীয় জল ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন।

বিষাদের এই দিনে শুধু চোখের জলে নয়। মানুষের মনে জমে ওঠে তীব্র ক্ষোভও। ভিড় থেকে ওঠে প্রতিবাদের স্লোগান। যার প্রতিধ্বনি পৌঁছে যায় জাতীয় মননে। এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা যেন আর কখনও না ঘটে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=_yZb6Bcl_7eXiKO1
নাথানিয়েল পরিবারের এই করুণ অধ্যায় কেবল ব্যক্তিগত শোক নয়, গোটা জাতির জন্য এক কঠোর বার্তা—ভালোবাসা ও সহানুভূতির মাঝেই জন্ম নেয় সাহস এবং আমরা যেন কেউ এই রকম আর একটি পরিবারের গল্প না শুনতে হয়।