মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাম্প্রতিক অস্থির পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ (CV Ananda Bose) বোস দিল্লিতে একটি ‘অশান্তি রিপোর্ট’ জমা দিয়েছেন, যা রাজ্য রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই রিপোর্টে সরাসরি ৩৫৬ ধারা জারির মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। রাজ্যপালের (Governor) উদ্বেগের মূল কারণ হলো রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামো কর্তৃক জনগণের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় ব্যর্থতা। তিনি ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রুখতে একটি নিরপেক্ষ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশটি হলো আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিএসএফের নজরদারি ও পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা।
আরো পড়ুন:https://www.facebook.com/61568474920385/posts/pfbid02fGpAaCDg6pLXDTZUuupCBSkc46JqChA6FXaj5Ugr9GYmtFzXRUPVqPGNznLFAweal/?sfnsn=wa
এই ঘটনাপ্রবাহের তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদে শান্তি ফেরানোর বার্তা নিয়ে প্রশাসনিক সফরের ঠিক আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসা। স্বাভাবিকভাবেই, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই রিপোর্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়েছে। দলের নেতা কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে রাজ্যপাল বিজেপির স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছেন এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অযথা প্রশ্ন তুলছেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এখন দেখার বিষয় হলো, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যপালের (Governor) এই রিপোর্টকে কতটা গুরুত্ব দেয় এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয় কিনা। মুখ্যমন্ত্রীর আসন্ন মুর্শিদাবাদ সফর এবং তারপর কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া রাজ্য রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের এই নতুন পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।