2016 teacher recruitment scam:সুপ্রিম কোর্টের করুণার অপেক্ষা:চাকরিহারা শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সোমবারের শুনানি!

রাজনীতি রাজ্য

২০১৬ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এক জটিল মোড় নিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের (2016 teacher recruitment scam) ভবিষ্যৎ এখন সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই শুনানিই বহু চাকরিপ্রার্থীর জীবন-মরণের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।

আরো পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/04/governorvsstate/

কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (2016 teacher recruitment scam) ২০১৬ সালের পুরো শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছিল। এই রায়ের ফলে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক তাদের চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) উভয়েই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

রাজ্য সরকার এবং এসএসসির পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশনে হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। তাদের যুক্তি, ২০১৬ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কিছু ত্রুটি থাকলেও, সকলের চাকরি বাতিল করা ন্যায়সঙ্গত নয়। এর ফলে বহু যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে, চাকরি হারানো শিক্ষকরাও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেরই দীর্ঘদিনের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং এই চাকরি তাদের একমাত্র আয়ের উৎস। সুপ্রিম কোর্টের রায় তাদের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। ২০১৬ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার এই পরিস্থিতিতে সোমবারের শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকার এবং এসএসসির রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে নাকি কোনও নতুন নির্দেশ দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছে রাজ্যের শিক্ষা মহল এবং চাকরি হারানো শিক্ষকরা। এই শুনানি কেবল আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন জড়িত। সকলের আশা, সর্বোচ্চ আদালত ন্যায়বিচার করবে এবং একটি সঠিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র বের করবে। এই পরিস্থিতিতে, সোমবারের আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য উদ্বেগের সাথে অপেক্ষা করছেন চাকরিপ্রার্থী এবং তাদের পরিবার।