নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার (Jammu And Kashmir) রক্তাক্ত ছাপের ক্ষত এখনও শোকায়নি। ২২ এপ্রিলের সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন নিরীহ পর্যটক। সারা দেশ জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পরই সন্ত্রাসবাদ দমনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়ে কড়া বার্তা দেয় ভারত সরকার। ঠিক সেই আবহেই কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) উপত্যকায় বড় সাফল্য পেল সেনা ও পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: Hydro Project: জলাধারে বাজল যুদ্ধের দামামা? ভারত নিল কঠিন পদক্ষেপ
বদগাম (Budgam) জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নাকা চেকিংয়ের (Naka Checking) সময় সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আটক করা হয় দুই ব্যক্তিকে। তল্লাশি (Search) চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল (Pistol), একাধিক হ্যান্ড গ্রেনেড (Grenade) এবং মোট ১৫ রাউন্ড গুলি (15 live rounds)। শুধু তাই নয়, সেনা সূত্রে খবর, ধৃতরা শুধুমাত্র অস্ত্র বহনকারী নয় বরং সক্রিয়ভাবে জঙ্গিদের সহায়তা করত। এই গ্রেফতারিকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে কারণ এতে জঙ্গি কার্যকলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছিন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
রবিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পুঞ্চ (Poonch) জেলার সুরনকোট সেক্টরের হরি মারোতে গ্রামে এক গুরুত্বপূর্ণ যৌথ অভিযানে জঙ্গিদের একটি গোপন ঘাঁটির খোঁজ পায় নিরাপত্তা বাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনী, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় সেখান থেকে পাঁচটি তৈরি অবস্থায় থাকা আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), দুটি ওয়্যারলেস সেট, পাঁচ প্যাকেট ইউরিয়া, একটি গ্যাস সিলিন্ডার, একটি দুরবিন (বাইনোকুলার), তিনটি উলের টুপি, তিনটি কম্বল এবং কয়েকটি ট্রাউজার উদ্ধার করা হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ০.৫ থেকে ৫ কেজি ওজনের এসব আইইডিগুলো সীমান্ত অঞ্চলে হামলার ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরক গুলি স্টিলের বালতি এবং টিফিন বাক্সের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে এগুলো নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিরাপদে ধ্বংস করা হয়।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
পুলিশ ইতিমধ্যে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতদের সঙ্গে (Kashmir Attack) আর কারা জড়িত রয়েছে অথবা তারা কাদের নির্দেশে কাজ করছিল,তা খুঁজে বের করতে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গোটা কাশ্মীর জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি যাতে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেক জঙ্গিকে খুঁজে বের করা যায়।