Operation Sindoor: ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এক সাহসী পাল্টাঘাত ও দুই নারী অফিসারের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব

আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: ২২ এপ্রিল পাহলগামে ঘটে যাওয়া নির্মম সন্ত্রাসী হামলায় (Pahalgam Terror Attack) ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন সদ্য বিবাহিতরাও। ধর্মের ভিত্তিতে যাদের বেছে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই পৈশাচিক ঘটনার পর ভারত যা করেছে, তা শুধু প্রতিশোধ নয়, এক প্রকার বার্তা। সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিলে তার চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। সেই জবাবের নাম “অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor)।

আরও পড়ুন: Operation Sindoor Update: ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী শিবিরে আঘাত

“সিন্দুর” (Operation Sindoor) এই শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে হিন্দু বিবাহিত নারীদের মঙ্গলচিহ্ন, ভালোবাসা, এবং সংসারের প্রতি এক অদৃশ্য কিন্তু গভীর অঙ্গীকার। ঠিক তেমনি, অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) এক ধরনের প্রতীকী জবাব, যেখানে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী বুঝিয়ে দিল, যে প্রাণ গেছে, তা বৃথা যায়নি।

এই অভূতপূর্ব প্রতিরক্ষা অভিযানের প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন দুই অনন্য নারী কর্ণেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sofiya Qureshi) এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং (Wing Commander Vyomika Singh)। এই সিদ্ধান্ত নিজেই এক শক্তিশালী বার্তা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিঙ্গ নয়, নেতৃত্বই মুখ্য।

কর্ণেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sofiya Qureshi): কর্পস অফ সিগন্যালস-এর গর্ব, প্রথম ভারতীয় নারী যিনি আন্তর্জাতিক মিলিটারি মহড়ায় (Exercise Force 18, ২০১৬) সেনা দলনেতা হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কঙ্গোতে তার অবদান এবং দীর্ঘ সামরিক অভিজ্ঞতা তাকে করে তুলেছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।

উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং (Wing Commander Vyomika Singh): একজন হেলিকপ্টার পাইলট যিনি ২,৫০০ ঘণ্টারও বেশি ফ্লাইং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। অরুণাচলে দুর্যোগকালীন উদ্ধার অভিযান হোক কিংবা হিমালয়ের চূড়ায় নারীনেতৃত্বে অভিযান। প্রত্যেকটি মিশনে তার দৃঢ়তা ও সাহস পরিস্ফুট।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

অপারেশন সিন্দুর-এ ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর যৌথ হামলায় পাকিস্তান ও পিওকে-তে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। মুরিদকেতে লস্কর-এর প্রধান কেন্দ্র এবং বাহাওয়ালপুরে জইশ-এর শক্ত ঘাঁটিতে মূল আঘাত হানে ভারত, যেখানে ৮০-৯০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।