নিউজ পোল ব্যুরো: বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের (Modi Government)। যেকোনো সন্ত্রাসবাদীকে হামলাকে যুদ্ধের ইঙ্গিত বলে ধরা হবে। সেই হিসেবে যোগ্য জবাব দেবে ভারত। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্রে..
গত তিন রাত ধরে উত্তর ভারতের সামরিক স্থাপনা এবং বেসামরিক এলাকায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। এর প্রায় সবগুলোই শক্তিশালী ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক দ্বারা প্রতিহত করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi Government)। ছিলেন তিন প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সেখানেই থেকেই সন্ত্রাসবাদে বিরুদ্ধে এই বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার (Modi Government)।
আরও পড়ুন: IND vs PAK: ভারতের জয় কামনায় হোম-যোজ্ঞ দিকে দিকে
গত তিন দশকে সন্ত্রাসের ছায়া বারবার নেমে এসেছে ভারতের উপর। কখনও মুম্বইয়ের স্টেশনে রক্ত ঝরেছে, কখনও সমুদ্রপথে ঢুকে গুলি চালানো হয়েছে জনবহুল নগরীতে। কাশ্মীর উপত্যকায় যেন স্থায়ী বসবাস করে নিয়েছে হিংসা—পুলওয়ামা, পাঠানকোট, উধমপুর বা পহেলগাঁও—সবখানেই ছড়িয়ে রয়েছে সহিংসতার আঁচড়। প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে বীর সেনানীরা, ভেঙে পড়েছে বহু পরিবার।
এত সব সন্ত্রাসবাদী আঘাতের পরেও, ভারত সংযমের পথেই থেকেছে। প্রমাণ হাতে তুলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে,যে এই অন্ধ হিংসার উত্সস্থল পাকিস্তান। কিন্তু প্রতিবেশী দেশটি বরাবরের মতো দায় অস্বীকার করে চলেছে, উল্টে জেহাদিদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে বারবার।
তবে এবার আর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশের মাটিতে ঘটে যাওয়া যেকোনও সন্ত্রাসবাদী হামলাকে ‘যুদ্ধ’ বলেই বিবেচনা করা হবে। আর সেই যুদ্ধের জবাব মিলবে প্রত্যাঘাতে। এই কৌশলগত অবস্থান অনেকটা ইজরায়েলের মতো, যেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার-এর সময় থেকেই দেশদ্রোহী আক্রমণের জবাব দেওয়া হয় কড়া হাতে।
সীমান্তে যখন উত্তেজনা চরমে, তখনই দিল্লিতে বাড়ছে প্রস্তুতির গতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন সকাল থেকেই পরপর বৈঠক করেছেন সেনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পৃথকভাবে বৈঠক করেন সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহানের সঙ্গে। দুপুরে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এরপর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, এনএসএ অজিত দোভাল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠকেই নেওয়া হয়েছে কড়া প্রতিরোধমূলক সিদ্ধান্ত। সীমান্তের ওপার থেকে যদি আগুন আসে, এবার উত্তর ফিরবে আগুনেই।