নিউজ পোল ব্যুরো:কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal )একাধিক জেলায় ফের গরমের দাপট। মে মাসের মাঝামাঝি এসে রাজ্যজুড়ে পারদ চড়ছে লাগাতার। শনিবার (Saturday )কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (temperature )৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather Forecast) দফতর। সকাল থেকেই আকাশ থাকবে একেবারে পরিষ্কার।
আরও পড়ুন: Weather Update: তীব্র গরমে নাজেহাল শহর!
দুপুরের দিকে রোদের তীব্রতা আরও বাড়বে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০-৬৫ শতাংশের আশপাশে থাকবে, ফলে গরমের সঙ্গে অস্বস্তিও (Weather Forecast) জুটবে নাগরিকদের কপালে। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, এবং বীরভূমেও তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে। দুপুরের দিকে কিছু কিছু জেলায় কালো মেঘ (clout, )দেখা দিলেও, বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই পরিস্থিতি আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। রাস্তাঘাটে মানুষজনের আনাগোনা কম, দুপুরে ফাঁকা থাকছে বাজার, অফিসপাড়াও।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির আশা, বজ্রবিদ্যুৎ (Thunderstorms) সহ ঝড়ের সম্ভাবনা। এই অবস্থার মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও কালিম্পং জেলায় শনিবার বিকেলের দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে হিমালয়ের পাদদেশবর্তী আবহাওয়া কেন্দ্র (Weather Forecast)। দার্জিলিং ও কালিম্পং অঞ্চলে সকালের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা প্রবল। কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদেরা। বিশেষ করে কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। চাষের কাজ চলাকালীন বজ্রপাত থেকে বাঁচতে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ক্ষেত্রেও পাহাড়ি রাস্তায় সাবধানে চলাচল করার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)‘শক্তি’-র সম্ভাবনা, নজর বঙ্গোপসাগরের দিকে| বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে, যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’তে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। এই সিস্টেমটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে। ১৮ থেকে ২০ মে-র মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ওড়িশা অথবা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে তার আগেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে পূর্ব ভারতের উপকূলীয় এলাকাগুলিতে।
পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশে সমুদ্রের ঢেউ ইতিমধ্যেই উঁচু হতে শুরু করেছে। মাছ ধরতে যাওয়া নৌকাগুলিকে শনিবার সকাল থেকেই ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যদি ঘূর্ণিঝড় শক্তি শক্তিশালী হয়, তবে এর ফলে আগামী সপ্তাহে রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT