নিউজ পোল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে গড়ে ওঠা গভীর নিম্নচাপের কারণে রাজ্যের আবহাওয়া বিপর্যয়জনক পর্যায়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি হবে।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাগুলোতে আগামীকাল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। এর সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রবল। এই পরিস্থিতি জনজীবনে নানা ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে কলকাতা এবং এর আশেপাশের শহরগুলোর মধ্যে জলাবদ্ধতা এবং যানজটের সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলো যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। এছাড়া, বিভিন্ন ব্লকে বন্যার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে জরুরি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Rain : সপ্তাহের শুরুতেই বৃষ্টি কলকাতায়, দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা
আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, এই ভারী বৃষ্টিপাতের অবস্থা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, যার ফলে আগামী কয়েকদিনে বন্যা, জলাবদ্ধতা ও রাস্তা বন্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নাঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় অবস্থান করা বিপজ্জনক। তাই বাড়ির ভেতরে থাকা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা এবং জরুরি না হলে বাইরে না যাওয়া উত্তম। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে, কিন্তু জনসাধারণের সচেতনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে জরুরি।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
বজ্রপাতের সময় খোলা ও উন্মুক্ত স্থানে অবস্থান করা বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সকলকে বাড়ির ভেতরে অবস্থান করতে এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, তবে জনগণের নিজস্ব সতর্কতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুসরণ করতে এবং প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এড়িয়ে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।