নিউজ পোল ব্যুরো: কয়েক মাসের নিস্তব্ধতার পরে ফের বাড়তে শুরু করেছে কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৭১০। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কেরালা, যেখানে ১,১৪৭টি সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে। মহারাষ্ট্র (৪২৪), দিল্লি (২৯৪), গুজরাট (২২৩), কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু (প্রতিটি ১৪৮টি), এবং পশ্চিমবঙ্গ (১১৬) কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও উদ্বেগজনক অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Columbia: অপারেশন সিঁদুরে ‘পাকপন্থা’ ভুল স্বীকার! শশী থারুরদের দৃঢ় কূটনীতিতে ইউ-টার্ন নিল কলম্বিয়া
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাতজন কোভিড আক্রান্তের (COVID-19) মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে চলতি বছরে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (২ জন) রেকর্ড হয়েছে, অন্যদিকে দিল্লি (Delhi), গুজরাট (Gujarat), কর্ণাটক (Karnataka), পাঞ্জাব (Punjab) ও তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu) একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, দিল্লিতে এটাই এই তরঙ্গের প্রথম মৃত্যু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ সংক্রমণই (COVID-19) হালকা প্রকৃতির এবং আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। লক্ষণগুলিও সাধারণ ফ্লুর মতো—জ্বর, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথাব্যথা, ক্লান্তি প্রভৃতি। তবে বৃদ্ধ ও সহ-রোগগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে LF.7 ও NB.1.8.1 নামে দুটি নতুন ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্ট ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও JN.1 এখনও প্রভাবশালী স্ট্রেন হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও পর্যন্ত এই নতুন ভেরিয়েন্টগুলোকে উদ্বেগ বা আগ্রহের তালিকাভুক্ত করেনি।
সতর্কতার অংশ হিসেবে, একাধিক রাজ্য হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে—বিছানা, অক্সিজেন, ওষুধ ও পরীক্ষার কিটের পর্যাপ্ত জোগানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলি মাস্ক ব্যবহারের অনুরোধ জানাচ্ছে, বিশেষত জনবহুল স্থানে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
কেরালার (Kerala) বেশি সংক্রমণের অন্যতম কারণ হতে পারে, রাজ্যটির আগ্রাসী টেস্টিং নীতি। এমনকি মিজোরামেও, সাত মাস পর ফের দুটি কোভিড কেস ধরা পড়েছে।