Anubrata Mondal police summons:অনুব্রতকাণ্ডে নতুন মোড়:দ্বিতীয় দিনেও গরহাজির,অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন!

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো:বোলপুর থানায় একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তৃণমূলের প্রাক্তন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal police summons)। কিন্তু টানা দ্বিতীয় দিন রবিবারও হাজিরা দিলেন না তিনি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এ দিন থানায় পাঠানো হল তাঁর ছায়াসঙ্গী তথা তৃণমূল নেতা দেবব্রত সরকার ওরফে গগন সরকারকে। অথচ অভিযোগকারীদের দাবি, শনিবার বিকেলেই তাঁকে দলের কার্যালয়ে দেখা গেছে। ফলে এই ‘অসুস্থতা’ ঘিরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/31/javed-akhtar-if-it-is-a-national-issue-he-does-not-shy-away-from-giving-a-candid-answer/

গত বৃহস্পতিবার রাতে অনুব্রত মণ্ডল ও বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অভিযোগ, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল আইসিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। যদিও ‘নিউজ পোল বাংলা’ সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। কিন্তু অডিও সামনে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে। মামলায় রয়েছে দুটি জামিন অযোগ্য ধারাসহ মোট চারটি ফৌজদারি ধারা।

পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার তাঁকে থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়। তবে তিনি যাননি (Anubrata Mondal police summons)।জানান, তিনি অসুস্থ। যদিও বিকেলে তাঁকে বোলপুর শহরের তৃণমূল কার্যালয়ে যেতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এরপর রবিবার সকাল ১১টায় ফের তলব করা হয় তাঁকে এসডিপিও-র দফতরে। সাড়া না দিয়ে, এ দিন থানায় পাঠানো হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ গগন সরকারকে। তিনি বর্তমানে তৃণমূলের অশিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

সোয়া ১১টা নাগাদ গগন সরকার থানায় গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, “আমি ব্যক্তিগত কাজে এসেছি। কেষ্ট মণ্ডল এখন অসুস্থ, বাড়িতে শুয়ে আছেন। আরও কিছু জানতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলুন।”

এই ঘটনার পর বিরোধীরা দাবি করছে, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর প্রভাব খাটিয়ে আইনের হাত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অডিও ক্লিপের ফরেনসিক বিশ্লেষণ করা হবে।

একজন প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে এভাবে মামলা রুজু এবং তার পরপরই বারবার হাজিরা এড়ানোয় প্রশাসনের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ঘিরে কৌতূহল তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।